আমার বাড়ীর পাশে একটা ডুমুর গাছ ছিলো,
ডুমুর গাছের নীচে একটা ছোট্ট ডোবা ছিলো।
মাঝে মাঝেই দোয়েল একটা ডুমুর গাছে বসতো,
ফুরুৎ করে উড়ে গিয়ে আবার ফিরে আসতো।


ডুমুর ফলের গুনের কথা অনেক শুনি আজ,
তখন কিছু জানতেম না, কী যে ওটার কাজ।
ক্বোরান বাইবেল ত্রিপিটকে আছে যে তার নাম,
ভেষজ গ্রন্থে লেখা আছে এই ওষধির গুনগান।


আদম হাওয়া নামলেন যখন মাটির দুনিয়ায়,
তাদের লজ্জাস্থান ঢেকেছিলেন এই ডুমুর পাতায়।
যীশু একবার ক্ষুধা নিয়ে ডুমুর গাছের তলায়,
শিষ্য নিয়ে থেমেছিলেন ক্ষুন্নিবৃত্তির আশায়।


ক্ষুধার মাঝে ফল না পেয়ে শাপ দিয়েছেন তাকে।
কোথাও যেন ফল না আসে, পত্র কিংবা শাখে।
একই জাতের বোধিবৃক্ষতলে অশ্বল্থ যার নাম
মোক্ষ লাভ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ মহান।


ডুমুর মধ্যপ্রাচ্যে পরিচিত আঞ্জির নাম নিয়ে,
ক্বোরানে তার উল্লেখ আছে ত্বীন নাম দিয়ে।
পথের পাশে মেলে বলে পায়না সঠিক মান,
ফুল ছাড়াই ফল হয় বলে প্রবাদে পায় স্থান।


ঢাকা
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।