বিয়ের রাতে প্রতিটি নববধূকে রাজকুমারী মনে হয়,
আর প্রতিটি বরকে ঘোড়সওয়ার রাজকুমার।
যখন এগিয়ে যাই নব দম্পতিকে শুভকামনা জানাতে,
তখন আমার সামনে দিয়ে খুব দ্রুত একটা শর্ট ফিল্ম
স্বয়ংক্রিয়ভাবে চোখের সামনে উন্মোচিত হয়ে যায়।


আমি দেখতে থাকি রাজকুমারীর চাকচিক্যময় বেশভূষা
কি করে একে একে সাধারণ পোষাকে পরিণত হয়ে যায়।
এলিয়েনের ন্যায় পার্লার সজ্জিত মুখ ও আরোপিত হাসি
কি করে মানবীর মুখের হাসি কান্নায় পরিণত হয়ে যায়।
কি করে একটা শীর্ণ তরু ফলন্ত বৃক্ষে পরিণত হয়ে যায়।


আমি দেখতে থাকি রাজকুমারের রঙিন উষ্ণীষ কি করে
খসে পড়ে এক নিমেষে। পাগড়িবিহীন মাথায় তাকে দেখে
অনেক ঘনিষ্ঠ মনে হয়। তার রুমাল ঢাকা লাজুক হাসিটা
একটু একটু করে কোথায় যেন উবে যায়। সরু দুটো কাঁধ
চওড়া হতে থাকে জীবনের খুঁটিনাটি ভার বহনের জন্য।


এসব দেখতে দেখতেই আমি এগিয়ে যাই, বর ও কনে কে
অন্তর থেকে আশীর্বাদ করার জন্য। তারা সৃষ্টির প্রতিভূ।
তাদের মাঝ দিয়ে যেন নশ্বর পৃথিবী পরিণত হতে থাকে
সুশোভিত পুষ্প কাননে। জীবন যেন তাদের ন্যুব্জ না করে।
দু'জনে মিলে মিশে যেন সামলে নেয় সকল প্রতিকূলতা।


ঢাকা
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।