অনামিকার স্পর্শ পেলেই আবীর বুঝতে পারে,
এ স্পর্শটা তার।
চোখ খোলা থাকলেও পারে,
চোখ বোঁজা থাকলেও পারে।
অনামিকার হাতের তালুটা
আবীরের বহু ব্যবহৃত হালখাতার মত,
বহুবার ধরে দেখা, বহুবার পড়ে দেখা,
শত পরিচিত, প্রায় মুখস্থ।


পিঠের উপর অনামিকার নিঃশ্বাস পড়লে,
আবীর না ঘুরেই বলতে পারে,
এ নিঃশ্বাসটা তার।
কারণ, আবীরের পিঠে কখনো আর কারো
তপ্ত নিঃশ্বাস পড়েনি।
সবাই জানে হাল্কা স্পর্শে গায়ে কাঁটা দেয়।
কারো নিঃশ্বাসও গায়ে হাঁসের ফুস্কুরি তোলে,
এ কথা ক’জনা জানে?


ওষ্ঠাবদ্ধ হয়ে যখন তাদের জিহ্বারা কথা বলে,
অচিন দেশের অনুসন্ধানী প্রত্নতাত্ত্বিকের ন্যায়,
সব কিছু পরখ করে দেখে,
তখন আকাশের বজ্রনিনাদও
তাদের বোঁজা চোখ খুলে দিতে পারেনা।
যতক্ষণ পর্যন্ত না  
জিহ্বাদের ফরাসী কাহিনী জানা শেষ হয়।
আর তারা ডুব সাঁতারের জন্য প্রস্তুত হয়।


একটি পেলব স্পর্শই অনল ছড়িয়ে দিতে পারে
সারা শরীরে।
এক দেহ থেকে অপর দেহে।
তখন শায়িত দেহ উল্থিত হয়,
আবার উল্থিত দেহ শায়িত।
আন্দোলিত হতে চায় একই তালে লয়ে
বিস্ফোরিত হতে চায় একত্রে। অবশেষে
সুখের বারিধারায় সে অগ্নি নির্বাপিত হয়ে যায়।


ঢাকা  
১৩ অক্টোবর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।