ছবির স্মৃতিটা আজ
শুধুই ছবি হয়ে মনে গেঁথে আছে।
আমার বাল্যকালের সেই বালিকা বন্ধু
হাফপ্যান্ট, ফ্রক পড়া ছোট্ট শ্যামলা মেয়েটি,
আমার প্রতিটি বিকেলের খেলার সাথী ছিলো।


ছবির সাথে নানা রকমের খেলা খেলতাম।
পাড়ার ছেলেরা মেয়েরা সবাই একইসাথে খেলতাম।
রুমালচুরি, গোল্লাছুট, এপেন্টি বায়স্কোপ, সাতচাড়া,
আরো কত কি! চোখ ঢেকে ‘আয়রে আমার গোলাপ’
‘আয়রে আমার টগর’ বলে ডাক দিতো, মনে আছে।


খেলতে খেলতে একদিন, ছবির স্ফীত বুকের দিকে
দৃষ্টি পড়াতে আমার কিছুটা কৌতুহল হয়েছিলো।
আগ্রহ নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, ফ্রকের নীচে সে
কী লুকিয়েছে। ছবি শুধু মৃদু রাগ করে বলেছিলো,  
ওসব জানতে নেই। আমিও আর কিছু জানতে চাইনি।


এর বেশ কিছুকাল পর, একদিন পথের ধারে
দুটো সারমেয় সঙ্গম শেষে প্রকৃতির বিচিত্র নিয়মে
বিপরীতমুখী হয়ে জোটাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিলো। হৈহৈ রৈরৈ
করে পাড়ার ছেলেপুলেরা ঢিল ছুঁড়ছিলো। ছবি অবাকবিস্ময়ে
প্রশ্ন করেছিলো, কেন ওদের লেজ দুটোকে বেঁধে দেয়া হয়েছে।


আমি মৃদু হেসে ছবিকে বলেছিলাম, ওসব দেখতে নেই।
ছবিও দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়েছিলো। ও ভেবেছিলো, ওদেরকে হয়তো
কোন কারণে শাস্তি দেয়া হচ্ছিলো।ততদিনে আমি জেনে গেছি,
প্রকৃতি সময় মত তার সকল রহস্য মানুষকে আর সব পশুপাখিকে
বুঝিয়েই ছাড়ে।  তাই অসময়ে অত কিছু জানতে নেই, দেখতে নেই।



ঢাকা  
০৬ ডিসেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।