মায়াবতী, তুমি নিজেই অকূল পাথারে ভেসে আছো,
তবু তুমি এক পথভোলা নাবিকেরে দূর থেকে আলো দাও,
যেন বাতিঘরের দিশা পেয়ে সে নাবিক পথ খুঁজে পায়,
কি জানি কী এমন মায়া বলে, মায়াবতী!


মায়াবতী, তুমি নিজেই এত ঘর্মাক্ত, কর্মক্লান্ত হয়ে থাকো,
তবু তুমি এক দিকভ্রান্ত পথিকেরে কাছে ডেকে নাও,  
বিটপীর ন্যায় শাখা মেলে তারে ভালোবেসে ছায়া দাও,
কি জানি কী এমন মায়া বলে, মায়াবতী!

মায়াবতী, তুমি নিজেই আচমকা ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে আছো,
তবু এক দিশেহারা নীড়ভাঙ্গা পাখিকে কাছে ডেকে নাও,
তোমার নিঃসঙ্গতার মাঝে তাকে সাথী করে নিয়ে গান গাও,
কি জানি কী এমন মায়া বলে, মায়াবতী!  


মায়াবতী, তুমি যখন কথা বলো, তোমার কথা থেকে মায়া ঝরে।
তুমি যখন ভালোবেসে তাকাও, তোমার চোখ থেকে মায়া ঝরে।
তুমি যখন কিছু লেখো, তোমার কলম থেকে নিরন্তর মায়া ঝরে।
কি জানি কী এমন মায়া বলে, মায়াবতী!


ঢাকা    
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।