নীরবতাও মাঝে মাঝে বাঙ্ময় হতে পারে,
শাখা প্রশাখা মেলে গল্প বলে যেতে পারে,
কোন গুণমুগ্ধ শ্রোতার কাছে।
যে শ্রোতার কান নেই, সে চোখ দিয়ে শোনে।
যে দর্শকের চোখ নেই, সে কান দিয়ে দেখে।
নীরবতার ভাষাটা হৃদয় বোঝে।

নীরবতা আবার কখনো ভঙ্গুর তৈজসপত্রের ন্যায়
খান খান হয়ে ভেঙ্গে পড়ে। পতিত জলের মত  
অশ্রু গড়িয়ে যেতে থাকে সে ভাঙনে।
কখনো সে নেশাগ্রস্ত সহিসের মত বিশ্বস্ত ঘোড়াকে  
চাবুকের পর চাবুক মেরে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।
চাবুকের শব্দ শুনে ভয়ার্ত পাখিরা শূন্যে উড়ে যায়।

নীরবতা কখনো হিরণ্ময় প্রকৃতির মত সুন্দর,
আবার কখনো ঘাতকের প্রতিচ্ছবির ন্যায় কদাকার।



ঢাকা    
২৭ ডিসেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।