সে বহুযুগ আগের কথা-
সেদিন যথারীতি সিগন্যাল ডাউন হয়েছিলো,
মেকানিক্যালী অপারেটেড সিগন্যাল,
লম্বা লিভারের হাতল টেনে তা নামাতে হতো।
প্ল্যাটফর্মে যাত্রী ও কুলিরা শোরগোল করছিলো,
ঘুমিয়ে থাকা কুকুরগুলো আড়মোরা ভেঙ্গে-
উঠে দাঁড়িয়েছিলো। তবু ট্রেন আসেনা, আসেনা!
হঠাৎ খবর এলো, দু’ স্টেশনের ঠিক মাঝখানে
ট্রেন লাইনচ্যূত হয়েছে। হৈ চৈ থেমে এসেছিলো।
আর অপেক্ষা না করে আমি ফিরে এসেছিলাম।


এর বহুদিন পরে-
তুমি একদিন সিগন্যাল পাঠিয়েছিলে, তুমি আসছো।
প্রথমে টেলিপ্যাথিক পরে টেলিফোনিক, আচমকা সে
বার্তা পেয়ে আমার ভেতরে তোলপাড় শুরু হয়েছিলো।
বেশভূষা পরিপাটি ছিল, তবুও চিন্তার অন্ত ছিলনা।
ত্বরিত তৈরী হয়ে চরম ঔৎসুক্যে অপেক্ষা করছিলাম,
সেই চৌরাস্তার মোড়ে। কিন্তু তুমি আসোনা, আসোনা!
হঠাৎ খবর এলো, অদৃশ্য এক পয়েন্টসম্যান এর নির্দেশে
তোমার গতিপথ বদলে গেছে, তুমি অন্যত্র চলে গেছো।
আর অপেক্ষা না করে সেদিন আমি ফিরে এসেছিলাম।


ঢাকা
২৩ জুলাই ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।


পাদটীকাঃ যান্ত্রিক ট্রেনের লাইনচ্যূতির সাথে মানব মনের লাইনচ্যূতির কিছু সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্যের কথা স্মরণ করে কবিতাটি লেখা। উভয়ে লাইনচ্যূত হয়, তবে ট্রেনের লাইনচ্যূতির পর ট্রেন দেরীতে হলেও আবার ফিরে আসে। মানব মনের লাইনচ্যূতির পর সেটার ফিরে আসা দুষ্কর হয়ে ওঠে।