মনে পড়ে---
লম্বা কুউউউ ডাকের সেই হুইসেল,
বাষ্প শকট চালিত একটি ট্রেনের
ঘরঘর করে চলে যাওয়া, দূরে কোথাও!
বিলের ওপার দিয়ে গভীর নিশীথে,  
বুকটা বিদীর্ণ করে চলে যেত প্রতি রাতে।  


পিলপিল করে চলে যাওয়া
রাতের সে মায়াবিনী ট্রেনে বসে কে যেত,
জানা নেই; কোথা যেত, তাও জানা নেই!
শুধু ঘুম কেড়ে নিয়ে, আমার আর রেললাইনের
দু’পাশের গাছপালার পাখিদের জাগিয়ে রেখে  
ট্রেনটা চলে যেত ধীরে, অন্য কারো ঘুম ভাঙাতে।  
  
সেই কবে একদিন দেখেছিলেম,    
ট্রেনের জানালার পাশে বসে থাকা,
প্রিয়জনদের ছেড়ে আসা একটি মলিন মুখ!  
হাতের তালুতে আলতো করে গাল পেতে রেখে,  
দ্রুত অপসৃয়মান দৃশ্যের প্রতি উদাস চোখে
নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকা একটি নিষ্প্রভ মুখ!


সেই মুখটাই-
সেই হাতের তালুতে ধৃত চিবুক আর গাল,
অপলক চোখ আর চওড়া কপাল,
বারে বারে ফিরে ফিরে এসে অহেতুক,
বসে যেত, রাতের আঁধারে আমার চোখের পাতায়!
মাঝে মাঝে চুপিসারে স্থান পেত কবিতার খাতায়।


রংপুর
১২ জুলাই ২০২১