এই হাতে কি নিপুনভাবে তিনি বাঁধতেন খোঁপা!  
ঠোঁটে ক্লিপ আটকে রেখে একটা একটা করে  
খোঁপায় গেঁথে দিতেন। তারপর অলিন্দ থেকে
দু’একটা সতেজ ফুল এনে খোঁপায় লাগাতেন।    


এই হাত ছিল তার নৃত্যকলার ভাষার প্রতীক,
এই হাত ছিল রসুইঘরের যাদুর কুহক কাঠি,
যার পরশে তৈরী হতো ক্ষুন্নিবৃত্তির উপকরণ।
এই হাত দোলাতো তন্দ্রাচ্ছন্ন শিশুর দোলনা।  


এই চোখ দিয়ে কবি দেখতেন প্রকৃতির শোভা,
এই চোখে তিনি মেখে রাখতেন মেঘের কাজল।
এই চোখেই তার ঝলসে উঠতো দ্রোহের আগুন,
এই চোখ থেকেই নীরবে ঝরতো জলের প্রপাত!


হায়, আজ সে হাত দুটো নেই, সে চোখও নেই!
ভূতলে চাপা পড়ে আছে সে দুটো হাত, সে চোখ।
দৃষ্টি বার্তা পাঠাতো মনের গভীরে, উতলা মনের
নির্বন্ধে কবি যা লিখতেন, তা আজ শুধুই স্মৃতি!  


ঢাকা  
২৩ আগস্ট ২০১৮  
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।