সোনালী মুখের উপর তার ছড়ানো কেশ,
আষাঢ়ের কালোমেঘ যেন ঢেকে দিচ্ছে  
ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বিচ্ছুরিত কিরণরশ্মি,    
চুলগুলো খোঁপায় বেঁধে নিল এলোকেশী।  


মাথার চকচকে সিঁথিটা তার খুবই স্পষ্ট;    
কালো মেঘের ঠিক মাঝ বরাবর যেন এক
বিজলিছটা, একটানে আঁকা বিভাজন রেখা।  
খোঁপার পেছনে কাঁচাফুল কিছু গেঁথে রাখা।


কানে তার দোলে চঞ্চল ফুলের মত দুটি
কর্ণলতিকা। পুরনো একটি নথ, চঞ্চুসম  
তার গর্বিত নাকে বসে হয়ে যায় আধুনিক!
মুচকি হাসির সাথে সাথে তার নথটাও নাচে।  


মনটা তার ঘনসবুজ ছায়াঘেরা এক দীঘি।
চৌকষ কোন ডুবুরিও স্পর্শ করতে পারেনা
যার অতল তল। কাজল কালো দুটো চোখ
তার মনের সুনামি ঢেকে রেখে খালি হাসে!


ঢাকা
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।