আমার ঘরের বিশেষ একটি কোণে  
দাঁড়িয়ে রয়েছে এক গোপন ভুবন,
সেখানে আছে কেবল তোমার প্রবেশ    
আমার প্রবেশ স্বেচ্ছায় রেখেছি বারণ।  


বাহির থেকে দেখেছি কত সুন্দর করে
সাজানো সেখানে কত শখের পসরা।
আট ফুট বাই চার ফুটের ক্ষুদ্র পরিসরে,      
রাখা আছে কত কি, যতনে থরে থরে!  


ছোট ছোট তোমার কত শখের পজেশন
শাড়ীর ভাঁজে ভাঁজে রাখা নিবিড় যতনে  
একলা বসে দেখো সেসব অমূল্য রতন
মন বসে না কাজে যখন কোন কারণে।

কি আছে সেখানে? প্রথম পাওয়া উপহার?  
স্মৃতির ইতিহাস হয়ে থাকা একেকটি শাড়ি?  
শখের গয়নাগাটির সাথে কিছু কাঁচের চুড়ি?
কিছু পুরনো ছবিও কি বাড়িয়েছে সে সম্ভার?      


হয়তো বা শতবার খুলে দেখা আর ভাঁজ করা  
কিছু চিঠি, শতবার পড়েও যা হয় না পড়া।  
আছে হয়তো গোটা অক্ষরে লেখা কোন চিঠি,  
তোমারই লেখা, এখনো যে চিঠির হয়নি ইতি!
  
পাদটীকাঃ  কবি বলেছেন, "জীবনের ধন কিছুই যায় না ফেলা"!  সংসারের শুরুতে পুরান ঢাকা থেকে কেনা একটা স্টীল আলমিরা আজও আমার ঘরে একটি অনন্য জগত বুকে ধারণ করে দন্ডায়মান। চাকুরী জীবনে বহু ঘাটে ঘাটে ঘুরে এখন অবসরপ্রাপ্ত। প্রতিটি বদলীর সময় অনেক মূল্যবান সামগ্রীও পুরনো স্টেশনে ফেলে এসেছি বা কাউকেও দিয়ে এসেছি, কিন্তু সেই আলমিরাটা আমাদের সাথে সাথেই ঘুরেছে এবং আজও তা আমার স্ত্রীর একটি গর্বিত পজেশন। সেখানে সাজানো রয়েছে অনেক শখের পসরা, আর এক সোনার সংসারের সোনালী ইতিহাস।  



ঢাকা
০৬ মার্চ ২০১৩
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।