______■ এক ফোটা বৃষ্টির গল্প_____
          ■রবিউল ইসলাম রাব্বি


শ্রাবণ আকাশের সাদা মেঘ হঠাৎ
কালো মেঘের বেশ ধরে
আমি সে আকাশটার দিকে তাকিয়ে গভীর চিন্তিত হই।
ভাবি এই বুঝি বৃষ্টি এল!
আরে ধ্যাৎ কিসের বৃষ্টি ? এযে কেবল মেঘের গর্জন।
সাথে বিদ্যুৎ চমকালো।
হৃদয়ে ভীতি জাগলো। আমি বিষণ্নতা অনুভব করি।
পাছেই ঘুড়ে দাড়াই। প্রার্থণা করি এক পশলা বৃষ্টি আমাকে ভিজিয়ে যাক।
বৃষ্টির আড়ালে আমার ক্রন্দন যেন কেউ না দেখে।
ভাগ্যিস আমি জানি আমার প্রার্থনা বৃথা ।
বৃষ্টি আসেনি। আমাকে ভিজাই নি।
আমিও অতৃপ্তিতেই এখনও চাতক পাখি।
আকাশ পানে বৃষ্টির আশায় চেয়ে রই।


হ্যাঁ আমি এখনও তাকিয়ে রই।
কারণ , আমারও একটা আকাশ ছিল।
আকাশ জুড়ে ভুবন ডাঙার শঙ্খ চিল ছিল।
তাদের উড়া চলার গন্তব্য ছিল।
সাদা মেঘ ছিল। ভেসে যাবার ঠিকানা ছিল।
গোধূলি বিকেল ছিল।সেই বিকেলের সাত রঙের মেলা ছিল।
সেই আকাশে সন্ধ্যা বাতি ছিল। মায়াবী রাত ছিল।
মিটিমিটি সারারাত আলো দেবার তারা গুলোর অভ্যাস ছিল।
একটা চাঁদ ছিল। চাঁদের জ্যোৎস্না ছিল।
জ্যোৎস্নাময় রাতে স্বপ্ন বিভোর একটা পৃথিবী ছিল।


সেই পৃথিবীতে একটা প্রেম ছিল।
নিশি দেখার সঙ্গি ছিল।
সুখ-শাড়ির সাত কাহন আঁচল ছিল।
রূপবতী এক মুখ ছিল।
হাতে রঙধনুময় কাচের চুড়ি ছিল।
নাকে তিল সহ নোলক ছিল।
কানে ঝুমকা,পায়ে রূপার নূপুর ছিল।
মন ভোলানো কোমরে-  সাত তোলার বিছা ছিল।
মুখে ঝিলিকমাখা হাসি, ডাগোর আঁখি ছিল।
জোড়া ভ্রু , ঢেউয়ের মত কোমল ঠোঁট ছিল।
নেশা বাড়ানোর সু-গঠন দেহ-তণু ছিল।
আদর ছিল,সোহাগ ছিল।
নিজেকে বিলিয়ে দেবার মত রূপ যৌবন ছিল।


নিজেকে হারাবার জায়গা ছিল।
স্বপ্ন আঁকার একটা পৃষ্ঠা ছিল।
শান্তির ভূবনে সুখ পায়রা ছিল।
ভালোবাসার নীড় বোনার কথা ছিল
আমার এই ক্ষুদ্র জীবনের সঠিক মূল্য ছিল।
ক্লান্তিতে ঘাম মুছার কেউ অপেক্ষায় ছিল ।
প্রত্যেকটা পূর্ণিমা দেখার একটা আলাদা মধ্য রাত ছিল।


হ্যাঁ , সবই ছিল বটে এখন নেই।
নেই সেই সুখের পৃথিবী আমার ।
পাশে থেকে কেউ নতুন করে স্বপ্ন জাগাবার।
নেই বিশাল একলা আকাশ আমার,
চাতক আখি তাই এখনও নিশ্চুপ -
একলা আকাশের এক ফোটা বৃষ্টি পাবার ।