মধ্য দুপুর, ক্লান্ত তুমি তপ্ত রোদে
ঘামে ভেজা এলোমেলো চুলে কপাল কুচকানো কিছুটা বিষণ্নতা
দেখতে তুমি তখন ভীষণ মায়াবী
কথায় ঝাঁঝালো মধুমাখা রাগ
শাঁড়ির আঁচল কোমরে গুছানো
নাকের উপর শিশিরের মত মিষ্টি গন্ধের দুলালী ঘাম
কিছুটা চঞ্চলতা, সাংসারিকতার যেন তুমি গভীর আবদ্ধ।
মূহুর্তেই অস্থিরতা , দুপুর গড়ে যায়
স্কুল শেষে ছেলে-মেয়ে ফেরার অপেক্ষা
ননদ ফেরার অপেক্ষা,দেবর ফেরার অপেক্ষা
অপেক্ষা ফেরার, এই আমার ,
এবার স্বযত্নে যত্ন নেবার সময় তোমার।
বিষণ্নতার মুক্তি;সবার শেষে কলিং বেলে  আগমন তোমার প্রিয়তার।
অতঃপর, অন্ধকার মুখে শাসানো গলায়
এই বুঝি সময় হলো আসার ?
আজও বুঝি অযুহাত, নানান কাজ আর নানান ব্যবসার ?
বাইরে বাইরে খেয়ে শরীরের করেছেটা কি ?
শাঁড়ির আঁচলে আমার ঘামে ভেজা মুখবদন মুছবে আর তোমার মুখে উঁকি দেবে হালকা হালকা মুচকি হাসি ।
বাহ্ !দেখতে তখন তুমি খুব অপরূপ রূপসী।
আমার পুরুষত্ব তখন উতলে উঠবে
আমি যেন এই ভাবেই ধিরেধিরে পূর্ণ স্বামী হয়ে উঠবো।


অতঃপর তেইশে পা রাখা এ যুবকের খেয়াল ভাঙে
স্বপ্ন জাগে-একদিন সত্যিই সংসারি হবো,পিতা হবো, দায়িত্ববান স্বামী হবো
আর আমার জন্য আমার বউ হয়ে উঠবে একজন কহিনূর মায়াবতী।


নারায়নগঞ্জ