কথার মাঝখানে হুট হাট চলে গেলে আমার কেন জানি খারাপ লাগে, এটা আগে বলে দেয়া উচিত ছিল আমার।


আমার জন্য অপেক্ষা না করে -খেয়ে নিও টাইম টুঁ টাইম,
এটা বলবো বলবো করে বলা হয় নি আর। অথচ বলা উচিৎ ছিল।


বলা বাহুল্য- কালো টিপে মানায় না আর এখন তোমাকে,
শাড়ির আঁচল ঘোমটাতেই যে তোমাকে  খুব সুন্দর দেখায় -মুখ ফুটে কেন যে বের হয় নি এই বাক্যটা ! তার কারণ খুঁজে পাইনি আমি আজও। অথচ বলা উচিৎ ছিল।


অফ ডে তে তুমি আমার কণ্ঠে কবিতা শুনে শুনে কাজ সেরে নাও।
কিন্তু অফ ডে এলে উল্টো টা করে যে তোমার কাজে তোমাকে সাহায্য করবো -তা আজও করা হয়নি। অথচ নিয়মিত করা উচিৎ ছিল আমার ।


প্রতিদিন টাই বাঁধা, কোর্ট পরিয়ে হাসি মুখে গুড বাই বলার পরিবর্তে- আমারও যে তোমার চুলে মাঝে মাঝেই তেল লাগিয়ে গল্প গুজব করবো ! ভাবি, কিন্তু করা হয়নি কখনোই। কিন্তু করা উচিৎ ছিল আমার।


অফিস ফেরার ঠিক মুহূর্তে সেজেগুজে আয়নার সামনে যে দাঁড়িয়ে থাকো দরজা খুলে- তাতে কোনোদিনই তোমাকে পাত্তা দেয়নি প্রেমিক সেজে ! অথচ বেলী ফুল এনে যে তোমার খোঁপায় গুঁজে দেব ,দেয়া হয় নি। অথচ দেয়া উচিৎ ছিল।


বিয়ের পরপর খুব বলতে বেবী নিবে। আমাকে বাবা ডাক শুনাবে বাবুর। গুরুত্বহীন নেব নেব বলায়-নেয়া হয়নি আর। অথচ একটা বেবী নেয়া উচিৎ ছিল আমার।


অভিমানে চলে যাও বাবার বাসা প্রায় প্রায়। আবার কদিন পর একাই চলে আসো । আমি আনতে যাইনা বলে তোমার সেই কতো অভিযোগ! কিন্তু তোমার অভিমান ভাঙিয়ে তোমাকে আনতে যাবো যাবো করে যাওয়া হয়নি। অথচ এমন সময় আমার যাওয়া উচিত ছিল।


ভাবতে ভাবতে আজ বছর কয়েক প্রায়।
সব বুঝে আমি আজ দার্শনিক যখন-তখন তুমি অন্য কারোর ঘরের সো পিচ।
অন্য কারোর ঘরে,  অন্য কোনো বরে তোমার নতুন জীবন।
এখন তুমি অন্য কারোর জন্য সেজে থাকো বেলী ফুলের আশায়,
সেই অন্য কেউ তোমাকে আনতে যাবে বলে তুমি আজও অভিমানে চলে যাও , কালো টিপ বাদে এখন ঘোমটা করো, কবিতা না শুনে তুমি তাকে এখন ঘুড়ি তুমি কার আকাশে উড়ো এমন এমন গান শুনাও।
হুট হাট চলে যাও না এখন আর খাবার টেবিলে ছেড়ে। শুনেছি বেশ সংসারী হয়ে উঠছ আগের থেকেও।
অথচ, তোমার মতো আমারও একটা নতুন সংসার করার উচিৎ ছিল....


15 জুন 2020