চিঠি


প্রতি সেকেন্ডে  কয়েক'শ বার ধুক ধুক করে যে   স্পন্দনটা অনিমেষ চলছে,
বুকের ভেতরে যে হৃদপিন্ড যাপিত আমার,
জীবন নির্যাস যে স্বপ্নে বিভোর,
প্রতিটা শ্বাস এখন যার কথা ভাবে
প্রতিটি প্রহর, সকাল বিকেল কিংবা মধ্য রাত -
যাকে নিয়ে আনন্দিত খেয়ালে আমার আমি
স্মৃতির আঙিনায় হারিয়ে যায় রোজ এখন,
সে শুধু কেবল'ই তুমি ও তোমার ভালোবাসা ।
তোমার অনুভব, তোমার মায়াময়ী শুদ্ধ পরশ।


চাঁদ যেমন হাজার অন্ধকার দূর করার প্রত্যয় নিয়ে
রোজ আঁধারে বিশালে আকাশে উদিত হয়,
সাগর যেমন উত্তাল হয়ে স্নিগ্ধ স্রোতস্বিনীকে
ভালোবেসে-
মাতাল করা জোয়ার নিয়ে আসে,
প্রকৃতি যেমন অপার মুগ্ধতায়-
মাঠের বুকে সবুজ ও সোনালি অবয়ব নিয়ে বিস্তৃত হয়,
রাত জাগা পাখি যেমন রাত পাহারা দেয় অনন্ত আঁধার, শঙ্খচিল যেমন ভেসে বেড়ায় সুযোগ সন্ধানি প্রতীক্ষা নিয়ে ,
চাতক পাখি যেমন বৃষ্টির পাবার অনাকাঙ্ক্ষিত আকাঙ্ক্ষায়-
পলকহীন দৃষ্টিতে মেঘ কামনা রোজ গভীর প্রার্থনায়,
তার চেয়ে গভীর থেকে গভীরে বিচরণ করে,
প্রার্থনায় মগ্ন হয়ে, নিঃস্বার্থ পেত পুজো আরতি নিয়ে-
এই জীবনের তরে জীবন বিলিয়ে
ভালোবাসি আমি তোমায়।
ভালোবাসি বলেই চাই তোমায় একান্ত আপন করে  ।


চাই আমার শিরা উপশিরা আপাদমস্তক তনু সারাংশে,
গভীরে অদৃশ্য অবিনশ্বর আধ্যাত্মিক রুহে,
আমার ভেতরের প্রতিটি নিঃশ্বাসের শব্দ থেকে
পৃথিবীকে জানান না দেয়া অবলা যে চিৎকার-
সে এতিম চিৎকারের পাশে তোমাকে চাই একান্ত আমার করেই।
চাই তোমাকে ঐশ্বরিক হৃদয় দ্রোহে ভালো থাকার পরম্পরার ভালোবাসায়।


কারণ ,ভালোবাসা ছাড়া কিছু নেই যে -
তোমাকে দেবার মতো,
অর্থে বিত্বে, ধনে - গরিব হতে পারি,
ভিখারি হতে পারি এই দেশ,সমাজ,পৃথিবীর বুকে
তবে শুদ্ধ ভালোবাসায় আমিই রাজাধিরাজ।
সম্রাজ্ঞীর সম্রাটপতি এই বিশ্ব দরবার ভুবনে।
স্বর্ণালী অক্ষরে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ বিশ্ব প্রেমিক খেতাবে
কেবল আমারই নাম।
বলতে আজ বাঁধা নেই নামকরা প্রেমিক আজ তোমাকে ভালোবেসেই।


তোমাকে ভালোবেসে আমার এই নশ্বর দেহ,মন স্পন্দন
এমনকি এ ক্ষুদ্র জীবনের একাত্ম মালিকানা হৃদয়ের-অস্থাবর-স্থাবর সম্পত্তি
ভালোবাসার যোজন যোজন চুক্তি পত্রে-
আমি তোমার নামে উইল করে দিলাম।
উইল করে দিলাম কিছু আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার স্বপ্ন সাতকাহন,
মালিকানা দিয়ে দিলাম আমার এ জগৎ সংসারের।


আমার জগৎ সংসারে কেবলই তুমিময় চিত্র আঁকা,
তুমিময়ের যাওয়া আসায় ভরপুর,আবার তুমিহীন বড্ড
একা।
তুমি চাইলেই সেখানে আমার প্রসারিত বাহুডোরে
আলিঙ্গনে সুখ খুঁজে নিতে পারো,
সুখে মোহিত হয়ে জগৎ স্বামীর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে পারো প্রতি পাঁচ ওয়াক্তে।
তুমি চাইলে আমার প্রতিটি রক্ত কণিকা থেকে
ভালোবাসার উপকরণ খুঁজে নিতে পারো,
ভালোবাসার আনন্দ উপন্যাস লিখতে পারো সংশয়হীন
মুক্ত স্বাধীন কলমে।
নিবিড় চিত্তে আপন মাধুরী মিশিয়ে অঙ্কন করতে পারো- ভালোবাসার রঙিন রঙ তুলি দিয়ে তোমার আমার শ্রেষ্ঠ ভালোবাসার বাঁধন ।


এই শোন,
একবার অনুপ্রেবেশ করেই দেখ আমাতে
আমি তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেবো কথা দিলাম ,
কথা দিলাম ,আমি তোমার প্রতিটি চাওয়া পাওয়ায়
সুখের আবরন ছড়িয়ে দেবো
নিজেকে উৎসর্গ করবো তোমাতে ভালোবাসার ভালোবাসায়।


জেন রাখ,
আমার আজন্ম অপেক্ষা শুধু তোমার জন্য,
তুমি না চাইলেও সারা হৃদয় উজাড় করে ভালোবাসা দেবো,
শুদ্ধ ভালোবাসবো স্পর্শে স্পর্শে চোখে চোখ রেখে, ভালোবাসা বিলাবো তোমার চৌদ্দ বছরের অনাকাঙ্খিত যাতনা বিরহে।
তোমার সব দুর্নিবার দূরত্বের কষ্ট আমি উড়িয়ে দিবো বুকে চেপে ধরে,
তোমার অস্থিরতা দমিয়ে দিয়ে-
আলিঙ্গনে আলিঙ্গনে ভালোবাসার ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ করবো তোমায়।
তুমি শুধু একবার আমার ভালোবাসার হাহাকার মিটিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দাও,
জন্ম জন্মান্তর, এপার ওপার আমি আজন্ম তোমারি রবো বারেবার।
আমি তোমার বিশ্ব প্রেমিক হয়ে আগুন্তুক বেশে ফিরবো অগণিত কোটি কোটিবার।


জানই তো , তোমার স্পর্শ নেইনি কখনো,
হাঁটিনি কখনো পাশাপাশি হয়ে আলো কিংবা মাধ্যরাতে,
সূর্যোদয়,সূর্যাস্ত দেখিনি একসাথে বসে ...
এখনও তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাইনি একটা নিশি,
জ্যোৎস্না মাখামাখি করে কখনই অন্তরঙ্গ হইনি,
কখনো চুমু খাইনি তোমার ঠোঁটে ,
আমি কখনোই তোমার বৃষ্টি ভেজা শরীরের
ঘ্রাণ নেইনি নিঃশব্দে...বা স্বপ্নে,
তবু তোমায় বড্ড ভালোবাসি,
কারণে অকারণে আমারণ
তোমাকে ভীষণ ভীষণ ভালোবাসি।
ভালোবাসি তোমায়, তোমার বিশুদ্ধ বিশ্ব প্রেমিক হয়ে।


14-10-17
সকাল 7 টা
নারায়নগঞ্জ