ঘর টা অগোছালো,
মশারীটা এখন'ও টাঙানো,
প্রভাত শেষে দ্বী-প্রহর,
হা'ই তুলে নিদ্রাহীন স্বপ্নহারা তণু
আমার -
ক্লান্ত , ক্ষ্রান্ত ও ব্যথায় তোড়জোড়।


আখিতে এখনও ঘুমের ভাব
সব কিছুরই কমতি আছে আমার
নেই শুধু কষ্টের অভাব।


জালানা দুটো খোলা
সাথে খোলা ঐ এককী নিড়ের দ্বার
গল্প হলেও সত্যি
এযে অপরিপক্ষ জীবনে কাহিণী আমার
শিরনামে ব্যাচেলার সংসার।


আশে পাশে নেই কোন চারুলতার ভীড়
নেই কোন বাসা বোনা পাখি পক্ষির
থাকলে রবি-মামা ওঠার আগেই
হয়ত ঘুম ভাঙ্গাত সু-কলিত কণ্ঠে
করে কিচির মিচির।
জ্বালাতো এই ওঠো, ওঠোনা দেড়ি হলো যে
সকাল গড়িয়ে দুপুর হল যে।
পাশে নেই তো কেউ'ই এ-কথাটাও বলার
এযে একাকী ভুবনের গল্প লেখা
আমার ব্যাচেলার সংসার।


পাঠ্য-পুস্তুক গুলি ছড়ানো ছিটানো
দক্ষিন দেয়ালটায় মোনালিসার লাজুক তৈল-চিত্র টাঙানো।
পশ্চিম দেয়ালে ওয়াল ঘড়িটা সহ দিনপঞ্জিকাটা ঝুলানো।
এসবেও ময়লা জমে আছে  
নেই কেউ'ই যত্ন সহ মুচে দেবার
এযে অপারোগতা নয় রে
এযে কষ্টেও সুখ খুঁজে নেওয়া
আমার ব্যাচেলার সংসার।


আমার বস্ত্র রাখার আলানাটায় পড়েনি কাপড় সাজাতে কোন সু-ঘরণী রমণীর হাত,
ঘরের চারকোণে মাকড়সা ও টিকটিকির কাটে বিরক্তহীন সুখের রাত।
প্রায় সময়ই বিছানার চাদরটা ও মেঝেটা থাকে নোংরা অপরিষ্কার,
এযে অন্য কিছু কাহিণী নয় গো
আমার নিত্য-দৈনিন চোখের বালি ব্যচেলর সংসার।


গ্যাসের চুলায় রান্না আমার
কখনো আবার বাজার করতেই সকাল সাবাড়।
তরকারী কাঁটতে কপালে ঘামের ঘনোঘটা,
সকাল নাস্তা দুপুর বারোটা।
বিশ্রামহীন পরিশ্রম তন্দ্রহীন দুপুর পেরিয়ে
সন্ধা ছেঁয়ে নেমে আসে আধার ,
এযে অল্প জীবনের স্বল্প গল্প'ই ব্যাচেলার সংসার।


রাত আসলেই ক্ষনিক প্রশান্তি আসে
মিথ্যে ঘুমের আশা নিয়ে নিদ ঘোরে আমার চারপাশে।
আমায় সাথে একা পাবে ভেবে
ঐ বিছানাটাও প্রায়ই মুচকী হাসে
বাতি নিভিয়ে ক্ষণিক সঙ্গী তখন আমার স্মার্ট ফোন
তার সাথে গভীর মিতালী আমার
কত কিছুই হয় একাকী আলাপন।
কথাচারিতায় কত নিদ্রা পুড়িয়ে নিশি করি পাড়,
তবুও সুখের আনন্দে মাখা আমার ব্যাচেলার সংসার।


16-04-17