প্রথমে তুমি ছাড়া একটি রাত কিংবা একটি প্রভাত -
মেনে নিতে কষ্ট হয়েছিল।
থমকে গিয়েছিল আমার বর্ণিল স্পন্দন।
নির্বোধাকার ছিল অনুভূতি সমূহ
বাঁধা দেয়ার পরেও, না চাইতেই -
অশ্রু খেলা করতো নয়ন জুড়ে।
রক্ত শূন্যতার ন্যায়, বিশ্বাস শূন্যতায় ভুগছিলাম
রোজকার সঙ্গী তখন স্লিপিং পিল।
আমার বাড়ন্ত কষ্টের কাছে প্রায় নিষ্ক্রিয়ই ছিল নির্বোধ পিল গুলো।
তবুও মিছে শান্তনা,তোমাকে ভুলে থাকার।
মিথ্যে অভিনয় বেঁচে থাকার।


গোধূলির নীল আকাশ,পায়ের তলানির মাটি সরে গিয়েছিল তুমি হীনতায়।
চারিপাশ অন্ধকার,শ্বাস রুদ্ধকর বাঁকা চোখ গুলোর তাকানি-
আমাকে তিলে তিলে পোড়তো
ঠেলে দিত মৃত্যু মুখ গহ্বরে।
মাথায় করে বয়ে নিয়ে বেড়াতাম ঘর পোড়া গরুর অপবাদ কলঙ্ক।


এখন তোমার অবর্তমানে ,
পৃথিবীকে কীভাবে বোঝাবো বল -
তুমি কী ছিলে না আমার ?
কোথায় ছিলেনা আমার ।
কোথায় রাখিনি তোমায় ?
কোথায় দেখিনি তোমায় ।
আমার প্রতি স্বপ্নের আগে-পিছে তুমি
আমার ছুটে চলার আগে-পরে তুমি
আমার ভিতর ,আমার বাহির
বাস্তবতা ,খেয়াল ,ধ্যান , ধারণা,আরতি,
আবেগময় জীবনের শুরু হতে শেষ অব্দি-
কেবল তুমি আর তুমি।
একটা দিন নয়, নয় একটা মাস ও বছর
ছিলে তুমি পূর্ণ যৌবনের চৌদ্দটা বছর অর্ধাঙ্গ হয়ে-
প্রতি মূহুর্তে ছায়ার মতন।
কেবল তুমিই যে ছিল আমার এ ভূমন্ডল বিচরণের নির্যাস সারাংশ।


অবশেষে হঠাৎ কর্ণপাত -
তোমার নতুন বাসর,নতুন ফুলশয্যা !
ভেঙে চৌচির হল বুকের প্রিয় পাঁজরটি
সমস্ত যন্ত্রণা একদম নিকটেই ভীর করলেও-
অতঃপর উপলব্ধি-
কষ্ট জংশনটার শেষ একটা অবসান হল।
বোবা যন্ত্রণা গুলো বাক পাবেনা আর-
চিৎকার করে কাঁদার জন্য ।
আর কোন কারণ পাবেনা রোজ বেদনা গৃহে বনবাস দিতে।
বিচ্ছ্বেদ ছিল যতটা ,ততটাই না পাওয়ার হতাশাতেও- তবুও একটা প্রতিক্ষা ছিল।
হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি, ফিরে পাওয়ার আকুলতা ছিল।
শত বাঁধা অতিক্রম করেও পাড়ি দেবার সম্ভাবনা ছিল অদূর তেপান্তর ।
তা আর হলোনা।
সে তরী নিয়ে ঘাটে ভিড়লোনা।
উড়ন্ত যৌবনে পাল তোলা তরীর সাথে-
নদীর চিবুকে,স্রোতের পরশে একই বন্ধনে, একই নিঃশ্বাসে পথ চলা আর হলোনা।
হলো শেষ স্বপ্ন আঁকা তাকে নিয়ে
তাকে নিয়ে মিলন তিথী বাসি এবার
কষ্ট লুকিয়ে, সময় একাই বিহর পাবার।


উৎসর্গ: তোমার জন্য
০৬–১০–১৭
নারায়নগঞ্জ