প্রিয় শ্রাবণী,


স্বভাবতই সকালেরই নিজ আলাদা সত্তা ও বিবেক বোধ থাকে ,
থাকে বিশাল হৃদয় 'সেথায় জন্ম নেয় আলাদা টান
সাথে শত ভালবাসা জাগে ।
আর সেই ভালবাসা দেয়া নেয়ার তরে-- লাগে দুটি পবিত্র মন,
মনে মনে হলে মিলন-হয় 'সে' মনের মানুষ, হয় 'সে' প্রিয়জন।


ঠিক জানিনা প্রিয়জন বা মনের মানুষ কেমন হতে হয়,
আমাকে যদি আমার মত বলতে বল ,তাহলে বলব-
প্রেম সিন্ধুতে আমায় ডুবিয়ে আমার আমিকে করবে সে জয়।
ভালোবাসায় পূর্ণ পূণ্যতা দিয়ে দূর করবে আমার সব দৈব আত্মার ভয়।


প্রভাতে 'সে' আমার হৃদয় আকাশে আসবে আলোর রবি হয়ে করতে আধার ক্ষয়,
নিত্য নতুন রূপে, সেজে আলো আশার পথ দেখিয়ে
এই মন আকাশে প্রতিরোজ -লাবণ্যময়ী হাসি হেসে হবে 'সে' উদয়।


সে কাছে আসলে প্রেম যমুনার খড়া নদীতে নতুন করে ভালবাসার জোয়ার জলোচ্ছ্বাস ফেঁপে ফুলে উঠবে,
তার এলোমেলো কালো কেশের ঢেউ তরঙ্গে-
আমার মাঝে সদা সুভাষিত হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হবে ।


সে পাশে থাকলে মাখামাখি ভালবাসায় অভাবনীয় বায়না ধরবে,
বক্ষে ব্যথাহীন কিল ঘুষিতে আঁচলে ঠেকে হৃদয়ে নানা আচর কাটবে।


সে নিত্য নতুন গান শুনিয়ে আমায় ঘুম পাড়াবে,
এই উঠো, উঠোনা,অনেক সকাল হয়েছে বার বার বলে আমায় - সকালে জেগে তুলবে ।


ঠিক দুপুরে আমার ক্লান্তি তাড়াতে
মাথায় হাত বুলাবে
খেতে আসো শুকিয়ে যাচ্ছো, রোগা হচ্ছো বলে রোজ ঘ্যান ঘ্যান করবে।


বিকেলবেলা গোধূলিময় নিকেতনে জোড় করেই আমার কোলে মাথা রাখবে,
ভালোবাসি অনেক বেশি বলে জোড়া শালিকের গল্প জুড়বে ।


সূর্য গড়িয়ে আধার পাটে সন্ধ্যা যখন নামবে ,
কোথথাও যেওনা ভয় লাগছে বলে -কলার্ট টেনে রোজ জড়িয়ে 'সে' ধরবে।


আমায় নিয়ে নিত্য নিশিতে ঐ দূর আকাশের শুকতারাটা খুঁজবে,
আমি তাকে কতটা ভালোবাসি আমার  মুখ দেখেই সে' বুঝবে ।


আমি যদি হারিয়ে যাই এই ভয়ে
রোজ তিমিরে আমায় ঝাপটে ধরে ' সে' কাঁদবে ,
আলতো ছোঁয়ায় ভালোবাসায় আমায় নিয়ে শুক-শারির সংসার 'সে' বাঁধবে ।


'সেই 'পাগলীর পাগলপনা ভালবাসা পেয়ে মনে আমার প্রশান্তি যখন মিলবে,
'সেই' ই পাগলী যে আমার মনের মানুষ হৃদয় তখন জানবে ।
মনের না বলা বাক গলা ফাটিয়ে-
বার বার তার তরে ভালবাসি যখন বলবে ,
সেই' যে আমার মনের মানুষ -গোটা পৃথিবী তখন জানবে ।