মা তোমার নাড়ি ছেড়া ধন
দুই মানিক রতন
কত দূর কত ক্রোশ রহিছে পরে
ছেড়ে  তোমার ঐ কোল জান্নাত নিকেতন।


মা তোমার পাশাপাশি থেকে
রোজ করিতে পারিনা যতন
কত রাত কত নিশিতে কাঁদিয়া
বালিশ ভিজিয়াছ মোদের তরে
সৌভাগ্য হয় কখনও মুছে দিতে
সেই অশ্রুসিক্ত দু-নয়নের অশ্রু রোদন ।


"মা" শৈশবের ন্যায়
ছোটাছুটি আর দুরন্তপনা করিনা এখন
আঁচল টেনে দুষ্টামি ও  আর
করিনা জ্বালাতন
রোজ কাছে গিয়ে বুকে টেনে
"মা"-মধুর ডাক ডাকিনা এখন ।


আছিযে দূরে ভুলিনি মা ভুল বোঝনা আমায়
কিভাবে কাছে গিয়ে "মা"বলে ডাকিব তোমায়
বল মা কিভাবে কি করি এখন !!
কর্মব্যস্ততায় তুমি যে শতত অন্তরে বাস কর
দু-অক্ষিতে ভেসে থাকো যখন তখন।


জগত উজালা মা" জননী
তুমিযে আমার পুরো পৃথিবী
দু-নয়নের মনি,
কি দিয়ে দিব তোমার মমতাময়ী ভালবাসার তুলুনা
কি দিয়ে দিব তোমার কষ্টের প্রতিদান
কি করে করিব পরিশোদ এত ঋণ
দশমাস দশদিন গর্বে ধরে
দুগ্ধ পানে বড় করে
করেছো যে চির ঋণী।


কতদিন খাওয়া হয়না
তোমার হাতে রাধা অমৃত রন্ধন
কতদিন ঘুমোনোর আগে নেয়া হয়না
"মা" তোমার দেয়া মাথায় হাত- বুলানি
আর মিষ্টি কপালে চুম্বন।
যেথা যেভাবে আছি ছিন্ন যেন হয় না
সকাল প্রতিকূলতায় অটুট থাকে
মা-ছেলের ভালবাসার অটুট বন্ধন।


হে খোদা হে বিধাতা
হে রহিম হে রহমান
তুমি যে চির কল্যাণকামী
তুমিযে চির করুনাকামী
তোমার পরে নত শিরে দু-হাত তুলে
মায়ের তরে সেপা চাই
চাই সুস্থতা
হোক আরগ্য আমার "মা"জননী
মায়ের মতন কে আছে আর মমতা ময়ী সুখ রমনী ।


07-08-16
সময় রাত 10টা
নারায়নগঞ্জ