আমি, ভালোবাসার জন্য কাঁদিনি কখনও
তবে, আমার জন্য কেউ নাকি কেঁদেছে,
আমাকে না পাওয়ার বিরহে স্বপ্ন রক্ত বলি করে -
সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা করেছে ।
এক পৃথিবীর সুখ বিসর্জন দিয়ে -
দুঃখকে নাকি আলিঙ্গন করেছে।
ভাবতেও অবাক লাগে ,
আমি নাকি কারও পৃথিবী !
আচ্ছা, ভালোবাসলে কি, কেউ কারো পৃথিবী হয় ?
বিরহ কি সব, ক্ষণিক মোহের ভালোবাসাতেই লুকিয়ে রয় ?
জানিনে বাপু !


শুনেছি , তার ইচ্ছে ছিল ভালোবেসে সে নাকি -
আমার হৃদয় আকাশে রঙিন ঘুড়ি উড়াবে,
ভাদুরে প্রেমের কোন এক পরন্ত বিকেলে আমার সঙ্গী হয়ে-
হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি আঁচল পেতে কুঁড়াবে।
আচ্ছা ভালোবাসার হৃদয় আকাশ বুঝি ধরা ছোঁয়ার আয়ত্তেই ?
সুতা কেঁটে ঘুড়ি পালালে সেখানে বুঝি ধরা দেয় !
হঠাৎ বৃষ্টি কি কখনও আঁচল পেতে কুঁড়ানো যায় ?
কি জানি বাপু ! বৃষ্টি কুড়ানোর দিন কখনই আসে নি ।
তাই জানিনা।
হয়তো দৃঢ় সে আঁচল কাহন,
একাকীত্ব বাড়লে সে বৃষ্টি গায়ে মেখে
মেটায় হয়তো অন্তর পোড়ন -দাহন।


শুনেছি সে নাকি নিদ্রাকে জয় করেছে,
ঘুমের বড়িতেও তন্দ্রা আসেনা।
তাই প্রায়ই রাত জাগে ।
জেগে জেগে নাকি ঐ আকাশের স্বার্থন্বেষি একা চাঁদটাকে দেখে, আর প্রার্থনা করে।
প্রার্থনায় নাকি একা চাঁদটাকে ভালো থাকতে বলে ।
রোজ পশ্চিম আকাশে -
সন্ধা হলে পূর্ণতা নিয়ে উঠতে বলে ।
আচ্ছা, রোজ কি পূর্ণতা নিয়ে ঐ পশ্চিম গগনে প্রত্যহ- ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদটার ওঠা সম্ভব ?
জানিনে বাপু !
কোন ভালোবাসলে সব দোয়া কবুল হয় ?
কোন ভালোবাসায় একা চাঁদকে রোজ পূর্ণতায় পাওয়া যায়।


শুনেছি, সে আমাকে অন্তর পরবাস করেই নাকি
অন্যের ঘর করে,
চোখের জল নিঃসৃত করেই নাকি রোজ আমাকে -
স্মৃতির আঙিনায় তার বুকটা ভিজিয়েই-
না পাওয়া ভালোবাসায় কষ্টের নীল রঙ তুলিতে আমায় আঁকে ।
শুনেছি, আমার জন্য একই বিছানায় নাকি স্বামী-স্ত্রী
তারা -বিপরীত ধর্মী চুম্বক তরঙ্গ,
ঢেউ উঠেনা ,আকর্ষণ করেনা।
কারও জন্য কেই একমুঠো হাসি বিলায় না।
মেলা থেকে কাঁচের চুড়ি, ফিতা কিছুই আনে না ।
আচ্ছা, আকর্ষণ না করলে কি ঘর সংসার হয় ?
পুতুল বিয়ে নাকি ?
আকর্ষণ না করলে যদি সংসার হয়না ,
তাহলে কারো ভালোবাসা না পেলে-
তাকে মনে জায়গায় দিয়ে প্রতিক্ষার প্রহর কিসের জন্য ?
কিসের জন্য অন্তরে এত রক্তক্ষরণ?
ভালোবাসলে আবেগী হওয়া যায়,
তবে বাস্তবতাকে খুন করে নয়।
নিজের কাছে ধেয়ে আসা সুখ কে গুম করে নয়।


১৪-০৬-১৭
নারায়নগঞ্জ