সবটুকু বই পড়েছি, শান্ত, নিঝুম-নিশুত রাতে,
পাঠ করা শেষে বুঝেছি এটুকু; জীবনের সংঘাতে
যাযাবর মন দীঘল পথের পরিক্রমার শেষে,
থিতু খুঁজে পায় নির্মলতার রূপ কবিতার দেশে।
কবিতার চেয়ে বক্তব্যের আধিক্য খুব বেশি,
আঁকাবাঁকা পথে নৃত্য করছে যেন এক ভিনদেশী।
জীবনের কথা, ব্যথা-ব্যাকুলতা কিছু কিছু কবিতায়,
ছন্দবিহীন কথার মুড়কি ফুলকি ফোটায়ে যায়।


কবিতার বাণী নন্দনময় শব্দে-ছন্দে হলে,
পাঠকেরা তবে বিমুগ্ধ হয়ে সফল কবিতা বলে।
যে কথা কখনো লিখন হয়নি আগেকার লেখনীতে,
সে কথা শোনালে; আলোড়ন ওঠে শুদ্ধপাঠক-চিতে।
কবিতার কথা সাধনার বাণী শব্দের ঝংকারে
হেসেখেলে নাচে, ঝিকিমিকি হাসে, মানুষের সংসারে।
নিস্তব্ধতার অমিয় ঘুঙুর কবিতায় যদি জাগে,
রুনুঝুনু সুরে পাঠকের মন নেচে ওঠে অনুরাগে।
কবিতায় যদি ছবি আঁকা যায় কথার শব্দ গেঁথে,
সে সকল বাণী কবিতা-প্রেমিরা আগ্রহী হয় পেতে।


তবুও বলছি, সত্য বচন ছেড়েছুড়ে রাখঢাক,
এমন কবিতা পাইনি 'জখমে' পাঠে হই নির্বাক!
কিছু কিছু কথা জীবনের ব্যথা দিনপঞ্জিকা হয়ে,
পাঠ করে গেছি বিস্ময় হয়ে বিমুগ্ধ হৃদয়ে।
ভাবনার ঢেউ কবিতায় এসে জাগুক বিশ্বময়,
কবিকে জানাবে অভিনন্দন পাঠকেরা নিশ্চয়।
কবিতার সাথে দায়বদ্ধতা করতে চাইলে আজ,
জেনে নিতে হবে ভাষার শৈলী, ছন্দের কারুকাজ।
শুভকামনায় আশীষ জানাই ভালো থেকো কবি 'বুড়ি'!
কবিতার দেশে ভরপুর হোক অমিয় কথার ঝুড়ি।
সমালোচনার কঠোর কুঠার-আঘাত সহ্য করে,
ভয়হীনভাবে সম্মুখে চলো মোক্ষ পথটি ধরে।


০১/০৩/২০২৩
মিরপুর, ঢাকা।