অনুপমে ঝুলে আছে সুবিশাল বৃক্ষের ফলের
মতো। কী অদ্ভুত, অনন্ত বিস্ময়কর! বোঁটা নেই
তার; ঝুলে থাকিবার। পলাতক শিশুর মতোন
অবিরাম ছুটে চলে। সেকেণ্ডের ব্যবধানে স্থান
পরিবর্তন করে সে তিরিশ কিলোমিটার! আর,
লাঠিমের মতো ঘুরে নিজের আলের পরে বসে।
তীব্র ঘুর্ণন গতিতে ছোটে, বুকে রাখে মমতায়,
সাগর-পাহাড়, বৃক্ষ, কতোশত নদী-মরুভূমি।
ক্ষোভ নেই, খেদ নেই বিরামহীন ছুটে চলে সে
আপন গতিতে কোন এক লক্ষ্যপথ অভিমূখে।
হৃদয়ে বেদনা নেই, আনন্দও নেই; অবিকার।
যেন অনুভূতিহীন বিহ্বল মননে নিরন্তর
ছুটে চলে, ছুটে চলে, ছুটে চলে অজানায় পথে।
মাঝে মাঝে কেঁপে ওঠে, পেলবিত বুকের ভেতরে
যখন যন্ত্রণা বাড়ে, কোন বিরহের বেদনায়।
কখনো সখনো কাঁদে ভেসে যায় অশ্রুর উজান
স্রোতে, জগতের মাঝে সৃষ্টি হয় নুহের প্লাবন।
অনাদরে বেড়ে ওঠা শিশুর মতোন ধীরে ধীরে
বড় হয়ে একদিন ভেঙে ফেলে সমস্ত সংযম
দ্রোহীমনে ঝাপ দেবে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের মাঝে।
তারপর, ছাই হবে শূন্যতার দূর মহাবিশ্বে।
নিঃশেষ হয়ে যাবে সে, অনিঃশেষ ঘন অন্ধকারে,
চিরতরে। সম্মোহিত বুকে তার যতো প্রাণী আছে,
জলবতী নদী আছে, ফুল আছে, পাখি আছে; আর,
আছে ধ্বংসলীলা প্রিয় মানুষেরা; অতঃপর,
এইসব সব কিছু নিয়ে নির্বিকার চেতনায়
ঝাঁপ দেবে; স্বপ্নহীন, মায়াহীন কৃত্রিম পিরিতি।
মহাশূন্যের ভেতরে একদিন শূন্য হয়ে যাবে;
আমাদের প্রেম মোহ জাগতিক অর্থের চাহিদা
আর রিরংসা-লালসা হয়ে যাবে সুদূরে বিলীন।


০৫/০৪/২০২৩
মিরপুর, ঢাকা।