আমি চলে যাবো দূরে, বহুদূরে, গভীর নিঃশব্দে;
কোন এক আচানক অদ্ভুত শহরে।
এই চলে যাওয়া মানে চিরকালের বিদায় নয়;
প্রাকৃতিক নিয়মের আকস্মিক রূপান্তর মাত্র।
একটি মৃতবীজ থেকে
যেমন উদ্গম হয় সবুজ সতেজ একটি বৃক্ষ;
তেমনিভাবে আমার নতুন উদ্গম হবে,
কোন এক অনন্য সুন্দর মহাদেশে, মহাকালে।
তোমরা কেঁদো না আর,
মুষড়ে যেও না আর দুঃখের গভীর অবসাদে।
অন্তহীন ভয়ংকর কোন স্থানে কোথাও যাচ্ছি না আমি,
চিরসুন্দর অনন্ত প্রেমিকের সাহচর্যে যাচ্ছি।
জেনো, মৃত্যু চিরস্থায়ী নয়;  
মৃত্যু আরেক জন্মের সৃষ্টির প্রস্তুতি।


হে, সামাজিক মানুষ!
সেদিন আমাকে কবরে দাফন করে, বিদায় বলো না;
কবর কেবলমাত্র একটি সূক্ষ্ম দেয়াল ব্যতীত,
আর কিছু নয়।
এ দেয়াল পেরোলেই-
আরেকটি অনন্ত কালের মহাকাল,
আরেকটি আশ্চর্য বিশ্বের মহাবিশ্ব,
আরেকটি আচানক নতুন জগত।
এ যেন দিনের শেষে এক সূর্যাস্তের পরে
আরেকটি সূর্যোদয়ের অবিরাম খেলা।
জীবন কখনো তুচ্ছ নয়;
মৃত্যুর আস্বাদ লাভ, তা-ও তুচ্ছ নয়।
জীবনের সাথে মৃত্যু পাশাপাশি চলে;
মৃত্যু আত্মার মুক্তির সেতু।


তাহলে, কেন সন্দেহ?
অন্য জগতের মাঝে ফিরে যেতে কেন এতো ভয়?
সেটা এমন জগত-
যেখানে সময় বলে কোন কিছু নেই;
স্থান বলে কোন কিছু নেই;
আলো-অন্ধকার বলে কোন কিছু নেই...


১০/০৫/২০২৩
শাহবাগ, ঢাকা।