জীবনের কথা মধুর বারতা হলে,
সুখের পরশে প্রাণ জাগে পৃথিবীতে;
পারিজাত পাখি পাখা মেলে নভতলে,
বসন্ত-বায়ু বহে কলকাকলিতে।
দুঃখের নদী পাশ কেটে যায় দূরে,
অজানার পথে হারায় যে তার ধারা;
স্বচ্ছতোয়ার জল বহে মধু-সুরে,
চিত্ত তখন আকুল, আত্মহারা।
জলের উপরে জলের নাচনা দেখে,
মানুষ জীবন খুশিতে ব্যাকুল হয়;
স্বজনের চোখে মায়াময় চোখ রেখে,
প্রেম-মহিমায় চিত্তের কথা কয়।
আকাশে তখন তারার নৃত্য চলে,
সবুজ পাতারা নেচে উঠে অবিরাম;
সুখধ্বনি জাগে মননে, জলে, স্থলে,
পৃথিবী তখন হয়ে উঠে সুখ-ধাম।


কতোকাল গেলো সুখের প্রত্যাশায়!
সুখ যেন এক অধরা সোনার পাখি;
এ ডালে, ও ডালে বনে বনে ঘুরে যায়;
তবুও, প্রতিটি মুহূর্তক্ষণ ডাকি।
প্রেমে-শ্রমে-ঘামে সকল শক্তি দিয়ে
ধরতে চাই যে কাঙ্খিত সুখ-ছায়া;
অহর্নিশি সম্মুখে যাই এগিয়ে,
পরিশেষে দেখি, সকলই ভ্রান্তি, মায়া।
কোথায় রে সুখ! হাহাকার উঠে মনে,
কতো যে মিথ্যে চপল ভাবনা জাগে;
সবকিছু ছেড়ে অতীব সঙ্গোপনে
খুঁজে ফিরি সুখ ঈশ্বর-অনুরাগে।
এখানেও দেখি, স্বর্গ-নরক খেলে,
পাপ-পূণ্যের হিসেবের বাড়াবাড়ি;
অবশ দেহের অলস নয়ন খুলে
তাই, বন্ধ করি সুখের আহাজারি।


০৯/০৬/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।