শোষকেরা প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর স্তব্দ করতে চায়
যুগে যুগে; অবিরাম অত্যাচারে শোষণে, পীড়নে,
সন্ত্রতস্তার জীবানু বুনতে চায় মানুষের মনে।
অথচ, মুক্তিকামীরা স্বপ্ন বোনে দৃঢ় প্রত্যাশায়।
তেজিয়ান মানুষেরা লুটেরার বঞ্চনা-শিকল
ছিঁড়ে ফেলার সংগ্রামে পথে নামে, প্রাণবাজি রণে।
বিদ্রোহ-অগ্নি স্ফুলিঙ্গ 'হুল' হয়ে উদ্বেল মননে
তীব্রতেজে জেগে উঠে; শোষণযন্ত্র করিতে বিকল।


জীবনের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় জেগে উঠে তারা
অত্যাচারী মহাজন আর দাদনখোর প্রতিহতে।
সিধু-কানু, ফুলো-ঝানু, স্বজাতির কাম্য মুক্তিব্রতে
হেঁটে যায়; বিস্ময়ে তাকায় সমুদয় সর্বহারা।
আজো স্বাধীনতাকামী মানুষেরা অজস্র শ্রদ্ধায়
বিদগ্ধ সাঁওতালি হুলকে ভক্তিরসে সালাম জানায়।
-------------------------------------------


হুল দিবসে গুল খেয়ে সে নাচে তা ধিন্ ধিন্,
জানলো না সে কোন আবেশে এলো হুলের দিন।
রক্তে ভেজা, কান্না ভরা, মাতম করা হুল,
স্বাধীনতার প্রথম সোপান; হয় না যে তার তুল।
হুল-বিরোধী ছিলো যারা, আজকে তারাই এসে,
রঙ্গরসে নেচে গেয়ে যায় সাঁওতাল দেশে।
মিছিল-মিটিং, লং-মার্চের আন্দোলনের ঢেউ,
প্রথম আনে সিধু-কানু জানলো নাতো কেউ।


৩০/০৬/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।