মায়ের বিচার করবি তুই! তোর জিহ্বা খসে পড়ুক
মর্ত্যলোকে; অন্ধ হয়ে লাভার মতো ঝরুক
অশ্রুজলের তপ্ত সিসার ধারা;
রে পাষণ্ড! ওরে ছন্নছাড়া।
কোভিড উনিশ অতিমারি তোকেই চেপে ধরুক।
গর্ভাবস্থার ব্যথাগুলো, জন্মদানের কষ্ট,
স্তন্যপানের বেদনা কি বুঝতে পারিস ভ্রষ্ট?
শিশুর কান্না মনে বেদন আনে
সেবাব্রতী সকল মায়ের প্রাণে;
ঘুম না এলে শিশুর চোখে মায়ের ঘুমও নষ্ট।
মাতৃত্ব ভদ্র বটে; স্নিগ্ধ কিন্তু নয় রে
বেকুব! অনেক কঠিন। তবে, সুন্দর সে হয় রে।
সব মায়েদের সহ্যশক্তি বহু,
দেহ যে তোর মায়ের মাংস, লহু
দিয়ে সৃষ্টি, সত্য এটি; বিজ্ঞানে তা কয় রে।
পাষণ্ড রে! বউয়ের কথায় মায়ের বিচার করবি
যখন; তখন অপমানে নিজের কাছেই মরবি।
সন্তানের আদর, ভালোবাসা
মায়েরা যে করেন বিপুল আশা
এই জীবনে; কষ্ট পেলে মা-র গলাতেই ধরবি।
অমূল্য ধন! খোদার দেয়া গুপ্তধনের ধারা
ছিন্ন করে হইস না রে তুই পাপী, ছন্নছাড়া।
বেহেস্ত ওই মায়ের অমল দোয়া,
আর পাবিনে হঠাৎ গেলে খোয়া
এমন পরশমণি; বুঝবি হলে মাতৃহারা।
০৮/০৭/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।