আসমান বুঝি
ফুটো হয়ে গেছে, ঝরঝর ঝরে বৃষ্টি,
পাখিদের আজ খাওয়া-দাওয়া নেই,
বলো, এ কি অনাসৃষ্টি!
জবুথুবু হয়ে
বসে আছে ডালে, নেই কোন সুর মিষ্টি,
শিশু ও কিশোর চুপচাপ বসে
নয়নে উদাস দৃষ্টি।
খেলাধুলা নেই,
হুল্লোড় নেই, অলস নয়নে চাইছে,
দূরে কোন এক পাগলা বাউল
মরমিয়া গান গাইছে।
জেলেরা সবাই
হতাশ হৃদয়ে দাঁড় টেনে নাও বাইছে,
কৃষকের গরু হাল ছেড়ে দিয়ে
গোয়ালের পানে ধাইছে।
কোথা ছিলো এতো
জলরাশি ধারা আকাশের মাঝে লুকিয়ে?
গতকালও ছিলো ঠনঠনে জমি,
মাঠ-ঘাট সব শুকিয়ে।
জলের পরশ
পেতে বুঝি মাটি আছিলো ভীষণ মুখিয়ে?
কে আনিছে আজ এতো জলরাশি,
বলো, কোথা হতে টুকিয়ে?
পাতার উপরে
টুপটাপ ঝরে, গান গেয়ে উঠে গাছেরা,
বৃষ্টির তোড়ে ছুটে আসে পাড়ে
পুকুরের কৈ মাছেরা।
পিছল উঠোনে
ও ঘরের ভাবী ধপাস করে যে পড়লো!
দহজিলে বসা বালক-বালিকা
হা-হা করে হাসি জুড়লো।
বৃষ্টির ধারা
থামবে না বুঝি এমনই সকলে ভাবছে,
গাছে গাছে পাখি, গোয়ালেতে গরু
শীতল পরশে কাঁপছে।


১৯/০৬/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।