আমিও যে করি, কবির কবিতা চুরি!
সময়ে সুযোগে প্রতিদিন ভুরি ভুরি।
জীবনানন্দ-রবীন্দ্র-নজরুল
ফোটায়ে গিয়েছে যে সকল গন্ধবিধুর সুন্দর ফুল
এ বিশ্ব-ভুবনে নান্দ্যনিক কাব্যের বাগানে
অমিয় শব্দের ছন্দে সুরময় গানে।
প্রত্যহ তা' পড়ি,
আর, নিয়ম করেই প্রতিদিন করে যাই চুরি।
রবীন্দ্রনাথের অমিয়ধারার ছন্দ,
হৃদয়ের মাঝে আনে বিপুল আনন্দ।
নজরুলের শব্দের ঝংকারিত গীতি,
নাশ করে দেয় অহেতুক সব ভীতি।
তাই, প্রতিদিন চোর সাজি,
শব্দে-ছন্দে করে যাই কারসাজি।
আরো যতো কবি আছে ভুবনে বিখ্যাত,
তাঁদের কাছেও নিত্য আমি মাথা করি নত।
প্রণাম জানাই!
সুযোগ সন্ধানী আমি সুযোগ পেলেই চুরি করে যাই।


রাত্রিশেষে, সকল কবিরা এসে চুপিচুপি কয়-
'কবীর! তুই নিশ্চয়
মহাচোর! সাধু সেজে আড়ালে থাকিস,
শব্দ ও ছন্দের প্রসাধনী গায়েতে মাখিস
অন্যের সুনন্দ ভাড়ারের ধন চুরি করে।
শত ধিক তোরে!
তাইতো রে, তোর রূপের জৌলস কখনো বাড়ে না,
চমক দিয়ে কারোর মনও কাড়ে না।
অপরের ধন
করে আহরণ
বল্, চোরেরা হয়েছে ধনী কবে,
সাধু-সন্তুদের এই ভবে?
কে হয়েছে মহাজ্ঞানী চৌর্যবৃত্তি করে
জগত-সংসারে?


যতো মহাজন মহাজ্ঞানী,
তারা বিপুল ধনের সনাতন ধনী।
ওই সব মহাজনে করো, নিয়ত স্মরণ,
কখনো করো না তাঁদেরকে অনুকরণ।
জাগিয়ে নিজের সত্ত্বা স্বীয় মর্মমূলে,
আপনার আঙিনা সাজাও নবরূপে সুবাসিত ফুলে।


১২/০৭/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।