বড়োই খেলোয়ার তুমি, ছল-ছলনার বৃন্দাবন।
সাধুর বেশে বসত করো গরল ভরা সারা মন॥


বন্ধুর মতো হেসে হেসে,
ভাব-কথা কও রঙ্গরসে;
আবার গোপন ছল-আবেশে রঙ্গ করো অনুক্ষণ॥


চোরেরে কও, 'করো চুরি, আসলে গৃহী দেবো রে ডাক',
গৃহস্তরে কও যে ডেকে, 'চোর ঢুকেছে বান্ধিয়া রাখ'।


এমন চতুর খেলছো খেলা
নিত্য তুমি সারা বেলা;
পড়বে ধরা ও রঙ্গিলা! বলে গেছেন সাধুজন॥


কাব্যভূবন সহজ সরল, নাই যে তাতে দিকদারি,
সবাই সেথায় বাদশা-রাজা, চলে না বাহাদুরি।


গোপন ছলের ছলনাতে
পাও কী সুখ বুঝি না যে!
মত্ত হলে ধূর্ত কাজে বলবে সবে বদ-দুর্জন॥


নামের আগে কবি লিখে, ওড়ায়েছো রঙিন পাল,
আত্মমোহের উন্মাদনায় নিত্য তুমি হও বেতাল?


বলবো না আর করেছি পণ,
'মুখে হাসি কূটিল যে মন!
আত্মম্ভরিতারই কথন নিত্য যে কও সারাক্ষণ'॥


২১/০৯/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।