সত্যের বাণী করে কানাকানি মিথ্যেরা আজ নাচে,
নিপীড়িতজন করে ক্রন্দন অত্যাচারীর কাছে।
রুদ্ধ দুয়ার খুলে এসো সবে,
জীবন-মরণ রণ উৎসবে;
দুর্যোধনের দুঃশাসনেরা বস্ত্রহরণ যাচে!
দুঃসময়ের দেশ-পাঞ্চালি! বলো তো, কিভাবে বাঁচে?
রাতের গহীনে গৃধ্নু-শকুন, শেয়ালেরা তেড়ে আসে,
বাজারে আগুন! শান্তির বাণী কেঁপে ওঠে সন্ত্রাসে!
ক্ষুধার জ্বালায় পেটে হাহাকার,
ভাঙা রেকর্ড বাজে বারবার-
'সবকিছু আছে খুব চমৎকার'! তারা বলে উল্লাসে;
এদিকে, মানুষ কাঁদে প্রতিদিন ভয়াতুর নিঃশ্বাসে।
কোথায়, হে বীর! ভেঙে জিঞ্জির ছুটে এসো রাজপথে,
বজ্রকণ্ঠের বাণী তোল আজ সাহসীর হিম্মতে।
কালের হিসাব নিতে হবে আজ;
চিরদুঃখীর লোভাতুর রাজ
দানবের মতো একচোখা হয়ে মৌতাতে রয় মেতে;
পারে না বুঝিতে ক্ষুধাতুর-দ্রোহ মানুষের সঙ্কেতে।
লোভের দানব ধ্বংস হবেই স্বতঃসিদ্ধের বাণী,
সত্যেরা এসে টুঁটি চেপে ধরে মিথ্যার রাহাজানি।
কাব্যসুধাতে ফুটালো যে ফুল
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল,
তারই সুঘ্রাণ অমিত তেজের মুজিবুর পেয়েছিলো,
কুরুক্ষেত্রের পার্থের ন্যায় স্বাধীনতা এনে দিলো।
তেমনি সাহসী এক মুজিবুর সময়ের পাটাতনে
দৃপ্ত চরণ রাখবে রে জানি মানুষের প্রয়োজনে।
আজ যত করো কথার ছলনা,
সত্য-মিথ্যা যতোই বলো না;
ঠকানো যায় না বহুদিন কভু অনেক মানুষজনে,
ইতিহাস তার সাক্ষী রয়েছে ভেবে দেখো ধীর মনে।
০৭/১০/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।