কবিতার অন্তরালে বাঙালি রমণী
আজানুলম্বিত কেশে হাজির হয়েছে।
মহুয়া ফুলের রস নীলাভ লাবণ্যে
শ্যামল স্নিগ্ধদৃষ্টিতে কবিদের প্রাণে
আলোড়ন তুলে গেছে অনন্ত নিসর্গে।
রাম-লক্ষ্মণ-সীতা ও পঞ্চ পাণ্ডবের
পুরাণকাহিনী ছেড়ে সাধারণ গৃহে
তুলে আনে কবি কাব্য-প্রসব বেদনা।
ভাষার বিরুদ্ধে ভাষা চোখ তুলে চায়!
সংস্কৃত-যুগের মূলমন্ত্র- ভক্তিবাদে
জন্মলাভ করে কল্পতরু, চৈতন্যের
বিদ্রোহী সন্তান বৈষ্ণব-বাঙালি মনে।
রুদ্র অহমিকা নিয়ে অপূর্ব সৌন্দর্য
দোল খেয়ে যায় স্নিগ্ধ-কবিতার কোলে।


১৮/১০/২০২১
চর বাউশিয়া, মুন্সিগঞ্জ।