প্রস্তরের ভক্তিবাদী হৃদয়কে নিংড়ে,
রক্তাক্ত কোমল ঠোঁট তুলে আনে কবি
বজ্রবৃষ্টি তুফানের তেজোদীপ্ত ঘায়ে।
কাব্যসুধা রত্নাকরে ঢেউ খেলে যায়
স্বমহিমায়। ক্রমশঃ কণ্ঠরোধ করে
রোগাক্রান্ত ঝরাপ্রাণ। কাব্যের সুষমা
রুদ্ররূপে হেঁটে যায় শষ্প শ্যামাভায়,
বাস্তবের কর্মবাদ উজ্জ্বল নিগড়ে।
কালকেতু-ফুল্লরার করুণোপখ্যান
আগায় না লেখনীতে। বাঙালি কবিরা
পৃথিবীতে রয়ে গেল নীলাম্বর হয়ে।
তাঁরা ফুল গুঁজে নীলাম্বরীর খোঁপায়,
অঙ্গেতে ছড়ায় সোহাগের সোনাদানা,
কন্ঠহারে শেফালির মালা, পার্থিব জীবনে।


১৮/১০/২০২১
চর বাউশিয়া, মুন্সিগঞ্জ।