এতো সম্পদ দিয়ে গেছে পিতা, শ্রমে-ঘামে দিনে-রাতে,
বেনোজল হয়ে ভেসে গেলো সব দূরে, অভিসম্পাতে।
এই সব কথা ভাবতে ভাবতে সন্তান কেঁদে যায়,
কিভাবে হিসাব দেবে আখেরাতে, আল্লার দরগায়?
সব সম্পদে পচন ধরেছে; তবুও, পারে না সরাতে,
পিতার এ দান ছিলো অফুরান, কাটছে শাঁখের করাতে।
সম্পদ-মোহ দুর্বিষহ জানেনি সন্তান আগে,
পচন ধরা সে সম্পদ! তবু, ধরে রাখে অনুরাগে।
আশীবিষ সম ভীষণ যাতনা অযাচিত বেগে তেড়ে,
ফণা তুলে আসে ছোবল মারতে প্রেম-প্রীতি সব ছেড়ে।
নিরিবিলি কাঁদে গহীন গোপনে নিশিদিন একা একা,
কোন কুক্ষণে জন্ম লভিছে এ কোন পাপের লেখা?
সমাজের ভয়ে থরথরে কাঁপে, মৃত্যুর ভয়ে বেশি,
ভাবে, একা বসে কোন দূরদেশে, পিতা হলো পরদেশী!
বেদনা এখন  জীবন বাঁচাতে, মরতেও লাগে কষ্ট,
সামনে-পিছনে ডানে-বায়ে দেখে ঘন আঁধিয়ার পষ্ট।
অশ্রুধারায় নদী বয়ে যায় কাঁদতে পারে না আর,
যত ভাবে, দেখে, সবকিছু মেকি, মিছে এই সংসার।
সম্পদহীন মানুষ জীবন যন্ত্রণাময় প্রাণ,
বুকের ভেতরে দাউ দাউ জ্বলে প্রখর বিবস্বান।
দেহ-সম্পদ অবহেলা ভরে করেছে সে অপচয়,
কণা পরিমান সকল হিসাব দিতে হবে নিশ্চয়।
শাঁখের করাতে কেটে যায় নিতি বাড়ছে দুঃখ-জ্বালা,
আহত বিবেক বারবার বলে, ওরে মূঢ়! তুই পালা।


১০/০৯/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।