হঠাৎ করে একটা ভ্রমর গুনগুনিয়ে উঠলো গেয়ে,
তখন সকাল মিষ্টি হলুদ রোদ ছড়ালো সারা গাঁয়ে।
ঘুমিয়েছিল বেড়ালছানা তারই কোলে পা গুটিয়ে,
চারিদিকে রোদের সানাই বাজছে যেন মুখ ফুলিয়ে।
জেট বিমানের ধোঁয়ার মতো,
ধানের ক্ষেতে ঝাপটা দেওয়া তুমুল তোড়ের বায়ুর মতো;
খুব সহজে হারিয়ে গেলো অনুভবের স্বপ্নটা তার।
ভাঁজ করা চোখ দেখছিলো যা',
রঙধনু-রং আলোর মতোই উজ্জ্বলতায় জ্বলছে যে তা'
নীল আকাশে দেখাচ্ছিলো চমৎকার!


লোকটা ছিলো পাশাল বুকের প্রদীপ্ত এক আলোর তলে,
মেদহীন তার শরীরখানি মাংসপেশী বেজায় ফুলে।
মোম মাখানো চামড়াগুলো ঝিকিমিকিয়ে উঠলো জ্বলে,
দুইটি কালো চন্দ্র যেন জ্বলছে অরূপ নয়ন তলে।
হাত বাড়ালো জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে,
দাঁড়িয়ে ছিল তেমন করেই কাকতাড়ুয়া যেমন ক্ষেতে।
চকোলেটের লোভে যেমন সব শিশুদের উদ্বেল মন,
স্বপ্নেরই চাদোয়ার নিচে তেমনই মন হচ্ছে তখন।
আঙ্গুলগুলো ছোঁয়ার আশায় ঘুমের ঘোরে ছুটলো যখন,
চোখ খুলে চায় সারা ঘরে ভ্রমর করছে গুঞ্জরণ।
সেই মেয়েটির স্বপ্নকথার সারাৎসার!
বুকের ভেতর জ্বলছে তখন বিষন্নতার হাহাকার।


২৯/১১/২০২১
চর বাউশিয়া, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ।