পাখির কূজন আলোড়িত বন করে শনশন বহিছে পবন,
হেমন্তাকাশ ফেলছে নিশাস অঘ্রান মাস ভেজায় যে ঘাস।
শিশিরের জল করে টলমল কিশোরের দল হয় চঞ্চল,
পাড়াগাঁর ছেলে দলবেঁধে মিলে নাড়ার আঁচলে হুতাশন জ্বালে।
তারাই দু'পায়ে লাফিয়ে মাড়িয়ে চলছে তাড়িয়ে যাচ্ছে এগিয়ে;
শীতের গগন জাগেনি তপন কিশোরীর মন হয় উচাটন।
শষ্যের ক্ষেতে কৃষকেরা মাঠে চঞ্চল হাতে মিলে একসাথে
দারুণ তৃষায় ধান কেটে যায় ডুবে যেতে চায় সুখের ছায়ায়।
শীত যেন সুখ জ্বলজ্বলে চোখ ফুলে ওঠে বুক রয় উন্মুখ
ঘরে ঘরে হাসি বলে ভালোবাসি আসুক উদাসী শীত রাশি রাশি।
তাই, দূরে শুনি সুর আগমনী শীত-জয়ধ্বনি বাজে রুনুঝনি
ফুলের বাগানে গোর ও শ্মশানে মানুষের প্রাণে বাজে গানে গানে।
করি' তোলপাড় বলে বারবার প্রিয় বাংলার শীত হে অপার!
কৃষকের ঘরে প্রেমী অন্তরে পলিময় চরে রও থরে থরে।


০১/১২/২০২১
শাহবাগ, ঢাকা।