তুমি আজ একজন টাকার কুমির!
বালকের খেলনার মতো সহসা পাল্টাও
হাল-ফ্যাশনের চকচকে গাড়ি
অথবা আকাশছোঁয়া আলিশান বাড়ি;
ফাইফরমাস খাটা পুরুষ ও নারী।
অথচ, তোমার কিছুই নেই!
সুন্দর ভোরের স্নিগ্ধ সূর্যোদয় নেই
মুগ্ধকর সন্ধ্যার আকাশ নেই
জ্যোৎস্নার রোশনাই নেই
বিস্তৃত বিলের শাপলার ঝাড় নেই
নীল সাগরের ঢেউ নেই
পাহাড়ের সবুজ স্নিগ্ধতা নেই
এবং দীর্ঘশ্বাসের মানুষ জীবনে
দীঘল প্রেমের একটি কবিতাও নেই।
মুঠো মুঠো গিলে খাও ঘন অন্ধকার
অমবস্যার রাত্রিতে কবরের পাশে
ভীষণ নিঃসঙ্গতায়, একাএকা বসে।


অথচ, আমাকে দেখো-
এ জীবনে খেলা করে নক্ষত্রভরা আকাশ
গেলাসে গেলাসে পান করে যাই
চাঁদের মহুয়া রস;
পকেটের খুচরো পয়সাগুলো কী অবলীলায়
স্বপ্ন-বোনার মতোন টুংটাং বেজে ওঠে অবিরাম।
আমি চিরসুখী!
দিনরাত আনন্দের মাঠে হেঁটে যাই;
ইচ্ছে হলেই আকাশ কিনি
ইচ্ছে হলেই ফসলের মাঠ
ইচ্ছে হলেই দান করে দেই
খৈয়ামের মতো রাজ্যপাট।
জীবনের চারিদিকে চলমান নদী
কলকল বয়ে চলে সুখের মোহনায়।


১৮/০৯/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।