কে তুমি? তুমি কে?
খুঁজছি তোমায় বন্ধ-দ্বারের অর্গলখানি খুলে।
খুঁজছি তোমায় আকাশ-তারায়,
সাগরের জলে, পাখিদের গানে,
বৃক্ষ-শাখায়, অশ্বত্থের মূলে।
কতবার গেছি দুর্গম পথে অবিচলভাবে হেঁটে,
পাহাড় ও মরু, বন্ধুর পথ যতো।
আজো হেঁটে যাই অরূপ তোমার সন্ধানখানি পেতে,
অবিরাম, অবিরত।
কে তুমি? তুমি কে?
জানিনে, জানিনে।
লক্ষ বছর পরিক্রমা শেষে,
দীন-দরিদ্র বালক সরল রাখালের বেশে;
যখন দাঁড়াই সম্মোহনের মোহনার তীরে এসে;
তুমি কি তখন নিজে কাছে এসে
বলে যাও মোরে-
'আমিতো তোমার জীবনেতে রই
মিলেমিশে ভালোবেসে?


আকাশে বাতাসে পরিচয় তুলে বলে যাই শত কথা,
বলে যাই আমি-
কখনো জননী, কখনো দরদী পিতা,
কখনো ভগিনী, কখনো সরল ভ্রাতা,
কখনোবা হৃদি-মিতা;
কভু প্রতিবেশী, কখনো প্রিয়ংবদা;
মানুষের মাঝে বসবাস করি চিরকাল সর্বদা।
নিত্য নূতন রূপ ধরে আসি
চিরজাগরূক; চিরঅমলিন আমি।
শূন্যতার মাঝে পূর্ণতা আনি,
তোমাদের কাছে বেঁচে রই দিবাযামী।
অন্তর খুলে দেখো অন্তরে,
দেখবে আমারে ভেতরে-বাহিরে;
আমি যে চিরঞ্জীব।
পেতে যদি চাও আমারেই তুমি
হয়ে যাও নিজে অবিচল সদাশিব।
কে তুমি? তুমি কে?
এ প্রশ্ন করে জবাব পাবে না তুমি,
ভালবাসাহীন মোহময় অন্তরে।


১২/১২/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।