কুন্দফুলের মালা,
আমারে দিয়েছো ভালোবেসে কুলবালা!
এখন দেখছি, হয়েছে জবার লাল,
তাই, আজ বেসামাল।
ভেবেছি তোমায় সুগন্ধী বেলী ফুল,
নিজেই নিজের তুল;
অথবা হলুদ গাঁদা,
না, অপরাজিতা; নীলের ভেতরে সাদা।
কতশত কথা লেখি
চোখ ঝলসানো রঙিন কিরণ দেখি;
বাঙালি হৃদয়ে হাঁটিতেছি কৌশলে,
নানাবিধ ছলেবলে।
আগুনের ফুল উঠে না যে জ্বলে প্রাণে,
সৃষ্টির জয়গানে;
হয়ে কৌতুকময়
লিখি কিছু কথা লোকেরা কবিতা কয়।
এসো, তুমি পদচুপি;
হে ফুলেশ্বরী! নন্দিত মেয়ে তুমি,
তোমার সাথেই সংসার করে যাই,
ভাবনা যে আর নাই।
নির্মলা! তুমি করো হে আলিঙ্গন,
ভিজুক তৃষিত মন;
তোমারে লভিতে আমি
নির্ঘুম হয়ে কাটাই দিবস-যামী।
কল্পলোকের মেয়ে,
কবিতা! তোমার আশায় থাকি যে চেয়ে;
আশার প্রদীপ জ্বলে-নিভে বারবার,
তবুও, চমৎকার!


০৯/০১/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।