বুস্টার দিতে কোস্টার চেপে হাসপাতালেই চলে যাই,
রুগী গিজগিজ হাসপাতালেতে দাঁড়াবার কোন ঠাঁই নাই।
জিজ্ঞাসা করে খুঁজে বের করি যেইখানে দেয় ভ্যাকসিন,
টেবিলেতে রাখা ঔষধ-সুঁই, মেঝেতে বিছানো রেক্সিন।
সুনসান ঘর নীরব নিথর মানুষের কোলাহল নেই,
হাসিখুশি মুখে নার্স এসে শেষে পুশ করে সুঁই সহজেই।
তারপর বলে, জ্বর এলে খেতে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট,
এই কথা শুনে আতঙ্ক-মনে মাথা হয়ে গেলো গুবলেট।
ভ্যাকসিন ছিলো অস্ট্রাজেনেকা, বুস্টার দিলো মর্ডানা,
বুস্টার শেষে বাড়ি ফিরে এসে গান গেয়ে যাই, তানা না না!
কোভিডের বাপ, ছেলেমেয়ে যত পালাইবে দূরে এইবার,
কোনো বাঁধা নেই আগামীর দিনে এখানে সেখানে ঘুরিবার।
নাক-মুখ ঢাকা মাস্ক ছুঁড়ে ফেলি, ভাবখানা যেন হাম-রাজা,
কোভিডের চাও অমিক্রন বাবু এবার পাবে রে ঠিক সাজা।
অনুভব করি জ্বরজ্বর ভাব, হাতে-পায়ে ব্যথা চিনচিন,
শুয়ে শুয়ে ভাবি কেন যে নিলাম বুস্টার এই ভ্যাকসিন!
কিন্তু, শুনছি সরকার কহে, মাস্ক ছাড়া গেলে বাহিরে,
জরিমানা নেবে, জেলখানা দেবে মুক্তি এছাড়া নাহি রে।
রেস্ট্রুরেন্টে সনদ লাগবে খেতে গেলে রুটি-গোস্ত,
ভ্যাকসিন যারা নাওনি এখনো তাড়াতাড়ি নাও, দোস্ত।
নিরাপদ ভেবে ইচ্ছেমতন কোন কিছু করা ঠিক নয়,
বিধি ও নিষেধ মেনে চলা ভালো জ্ঞানী-গুণীজন সবে কয়।


১০/০১/২০২২
মিরপুর ঢাকা।