আমি খুঁজছি তোমাকে বনে-জঙ্গলে, বিশ্বপিতা হে, প্রভু!
খুঁজে হয়রান সারা দিনমান কোথাও দেখিনি কভু।
কেউ বলে তুমি আছো কাবাগৃহে; কেউবা বলছে কাশী,
তাদের মুখের বিশ্বাস শুনে আমিতো কেবল হাসি।
জানি, রঙচঙ করা পাথরের ঘরে রহো নাকো তুমি বসে,
মোল্লা-পুরুতে হয়রান হয়ে খুঁজে কোন উদ্দেশে?
তারা যেন আজ তোমার প্রতিভু টুপি-টিকি-দাড়ি নিয়ে,
তোমার নামের তবারক বেঁচে স্বার্থের কড়ি দিয়ে।
মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়ায় ধর্ম-কথার ছলে,
মিথ্যাকে তারা করছে প্রচার নানাবিধ কৌশলে।
ওরা বজ্জাত! ধর্মের নামে হলাহল করে যায়,
ওদের নয়নে লোভের আগুন দাউ দাউ উছলায়।
ধর্মের নামে হানাহানি করো, রক্তারক্তি ভবে,
বলেনিতো কোন স্বর্গীয় দূত, ধর্মের অবতার;
তাঁরা বলেছেন শুধু-
ভালোবাসা দাও এই মানুষকে ঈশ্বর জ্ঞানে; তবে,
স্বর্গপ্রভায় আলোকিত হবে মানুষের সংসার।


পৃথিবীর সব মানুষের প্রতি আছে যে তোমার দৃষ্টি,
সাদা ও কালোতে, ধর্ম-বর্ণে কেন হবে অনাসৃষ্টি?
প্রভু! তুমি দেখো দূরে বসে,
ধর্ম-বণিকে তোলাপাড় করে হিংসা-বিদ্বেষ-রসে।
ধর্মের নামে দেশ ভাগ হয়, এক হয়ে যায় দুই,
এক পরিবার, সুজন-স্বজন আলাদা আবাসে শুই।
একই মায়ের স্তনের দুগ্ধে বেঁচে ছিলো সুখে যারা,
তারাই আবার পরস্পরের প্রতি তুলে ধরে খাড়া।
হায়, রে ধর্মবাজ!
দুর্বত্তের অহমিকা নিয়ে তুমি আজ রংবাজ।


১৯/০১/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।