আসমানের ঐ তারার দেশে ছিলে তুমি রানীর বেশে
                মর্ত্যে কেনো মরতে এলে প্রিয়;
আমার এ প্রেম তোমার তরে লুটিয়ে দিলাম উজাড় করে
                বন্ধু ভেবে আপন করে নিও।


এসেছিলে শ্যাম-বালিকা    গলে পড়ে ফুল-মালিকা
                চরণখানি আলতো করে ফেলে,
রক্ত-মাখা গোলাপ তুলে পরিয়ে দিলাম তোমার চুলে
                দেখলে তুমি হরিণ-নয়ন খুলে।


রাগ ছিলো কি তোমার চোখে  প্রেম ছিলো কি তোমার বুকে?
                অবোধ আমি বুঝতে পারিনি;
ভয়ে ভয়ে দূরে থেকে       শুধু তোমার ছবি এঁকে
                পার করেছি হাজার রজনী।


সেই যে তুমি রানীর বেশে   চলে গেলে দূরের দেশে
                ভীনদেশী এক রাজপূত্রের সনে,
অশ্রুজলে বুক ভেসেছে    তাইনা দেখে সব হেসেছে
                লজ্জায় আমি লুকিয়ে গেছি বনে।


আবার কেনো আসলে রানী    অধরেতে মধুর বাণী
                ভাঙ্গা মনে আলতো ছোঁয়া দিয়ে!
বুকের ভেতর ভয় তরাসে কিভাবে যাই তোমার কাছে
                সব হারানো হৃদয়খানি নিয়ে।


লজ্জা-শরম সকল ভুলে  আবার তোমায় নিলাম তুলে                
                রাখবো কেমন করে তুমি বলো?
আমার ‘আমি’ নেইকো আমার  হৃদয় জুড়ে দুখের পাহাড়
                সুখের ছোঁয়ায় করছে টলোমলো।


আমরা এখন যেমন আছি     হৃদয় নিয়ে কাছাকাছি
                সুখভনিতায় দুঃখ নিয়ে মনে,
আমাদেরই এই পিরিতি  অমর বাণীর হোক না গীতি
                মিশে গেলে সোঁদা মাটির সনে।


তোমার আমার মিলন মেলা  তোমার আমার রঙ্গ খেলা
                নাইবা হলো এই পৃথিবীর ’পরে;
আমার সকল চিন্তা কাজে  তোমার কথা নিত্য বাজে,
                আমার হৃদয় রাখি তোমার তরে।


সকল ব্যথার সকল সুখের  সকল আশার সকল দুখের
                মধ্যমনি তুমি আমার প্রিয়,
দূর থেকে এই শব্দাবলী       তোমার পায়ে দিলাম ঢালি
                রক্ত-ঝরা ভালোবাসা নিও।


কেমন করে বাঁজাও বাঁশি    সুর যেনো গো সর্বনাশী
                থাকতে আমায় দেয় না গৃহকোণে,
ওঝা যেমন বীণের টানে       গর্ত থেকে সর্প আনে
                তেমনি করে টানছো তোমার পানে।