কখনও কখনও তিনি কায়েসের লায়লার
মতো, কখনও কখনও তিনি দুপুরের
সূর্যের মতোন, কখনও কখনও তিনি
বিকেল বেলার ছায়ার মতো, কখনও কখনও
সৌন্দর্যের নদীর মতো আমার পেছনে
রঙিন বালির সিংহী হয়ে দাঁড়ায়। শাসনের তর্জনি
তুলে ধরে রঞ্জিত মসৃণ ঠোঁটে; আর,
হলুদ কাঠের রেকাবিতে চিকেন স্যুপের বাটি।
তিনি যেনো অন্যরকম অনন্ত প্রেম,
অরোধ্য দাক্ষায়ণী! সম্মুখে প্রাচীর,
প্রাচীরে বাঁধানো বিশাল আয়না, আমি সব দেখি;
কিন্তু, এসব আমার পছন্দ হয় না;
বিরক্তিকর উপায় খুঁজে ফিরি সমস্ত ঘরময়।
নাছোরবান্দা তিনি অন্ধকারে ঘর্ম-ভেজা
মুখ ঘসে আমার মস্তকে, চোখে,নাকে;
অনাবৃত সমস্ত শরীরে। ফোঁসফোস আওয়াজে
মাতিয়ে তোলে ঘরদোর, বিশ্ব-সংসার।
ফুলে উঠা নাকের বাঁশিতে শিস উঠে,
আগুনের মতো শিস; নিরুপায় আমি
বালির সিংহীকে ঘিরে জব্দ-মন্ত্র পাঠ করি।
অতঃপর, উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু
একাকার হয়ে যায়, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের শেষে
বালিয়ারী হয়ে যায় শান্ত ও স্থির।


১০/০৫/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।