আমার একটা নদী ছিলো- যার জলে সুখ
অফুরান!
যে নদীতে ভাসিয়েছিলাম প্রেম মনোহর
পানসিখান।
তাতে ডোবার সাধ হলো যে-
কেউ জানে না, আমি জানি, আর জানে সে-ই
নদীর পাড়।
যে নদীতে সাঁতার কেটে পেতাম সুখের
আস্বাদন,
যে নদীতে ভাসিয়ে ভেলা খুঁজে নিতাম
শাপলা-বন;
সে নদীটা হারিয়ে গেলো-
বলছে সবাই কি নাম ছিলো? কেমন ছিলো
তার বাহার?
কেউ জানে না, আমি জানি, আর জানে সে-ই
নদীর পাড়।
যে নদীতে ডোবলে সুরুজ আলোয় মাতে
আকাশখান,
যে নদীতে দ্বিধা ভুলে ডুবতে যে চায়
মানুষ প্রাণ;
আগুপিছু না ভেবে তাই
হাত বাড়িযে নদীর চুলে খুঁজে বেড়াই
সুখের ফুল।
সে নদীতে সুর ছিলো যে- বাঁশির মতো
মনোহর!
বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে কাটিয়েছিলাম
যুগান্তর।
ঈষাণ কোণে জমাট বাধা
মাতাল বাতাস ওমনি এসে উড়ায় যে তার
কৃষ্ণ চুল।
হাত বাড়িযে নদীর চুলে খুঁজে বেড়াই
সুখের ফুল।
নদী ছিলো যেখানেতে, আকাশ ছিলো
চমৎকার,
নাম ধরে সে ডেকেছিলো, কণ্ঠ যেন
সুরবাহার।
দুঃখ আমার কেউ বোঝে না,
কেমনে বোঝাই- নদী ছিলো সাগর যেথায়
সবুজ-নীল।
আমার ছিলো একটা নদী, হারিয়ে গেছে
বহুদূর,
নদী যে আজ মরুভূমি, চোখে কাঁদে
সমুদ্দুর।
রাতের আকাশ চুপিসারে
প্রশ্ন করে, কোথায় ছিলো সে-ই নদীটির
অবুঝ দীল!
কেমনে বোঝাই- নদী ছিলো সাগর যেথায়
সবুজ-নীল।
০৫/০১/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।