প্রিয়তম, প্রগাঢ় বিশ্বাসে ছুঁতে চায় মন, বারংবার
শুধু তোমাকেই; কৃষাণীর কারুময় হাত দিয়ে
তুলে রাখে নবীন ফসল শোভিত গোলায় যেমন করে।  
মনে পড়ে আজো, সেই চিত্রগাথা! স্পন্দনে স্পন্দনে
আনে শিহরণ অবিরাম কম্পনে কম্পনে প্রাণোচ্ছল।


কেন তুমি অধরে অধর রেখে, চিবুকে চিবুক,
মদালসা চোখের দৃষ্টিতে ভেজালে প্রেমের চিরকুট?
আমার কুন্তলে বিলে কেটে কেটে গ্রীবায় রাখিলে হাত,
প্রবল বাতাসে খুলে গেলো মনের জলকপাট, অকস্মাৎ।
চেতনার ঘরে যেন ঘন ঘুম নামে দু'চোখ বহিয়া অশ্রু নামে,
স্পর্শে স্পর্শে মাতোয়ারা হই।
ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখি যাত্রা করে কোমল আঙুল,
উল্লাসের লাভা নামে শরীরের উপত্যকা বেয়ে;
অগ্নুৎসব জাগে দেহের অণু-পরমাণু চিড়ে।
তোমার প্রেমালিঙ্গনে আমার কামুকতার তেজ বাড়ে,
অধীর অস্থির অথচ ভীষণ নীরবতা নামে বিশ্ব চরাচরে,
তবুও, এ প্রাণ চায়, সেই নিথরতা থেকে তোমার ভেতরে
উন্মীলিত করি সজল প্রাণের কঠিন সত্তাকে,
তথাকথিত এ সমাজের নিয়ম-কানুনের দেয়াল ভেঙ্গে,
সকল ভ্রুকূটি অবহেলা করে।


প্রিয়তম, তোমার আটপৌরে ভালোবাসা আমাকে ঘুমুতে দেয় না,
সূর্যাস্তের বেদনার্ত মুহূর্তের মতো
অজস্র যাতনা নিয়ে ঝরে যায় অবিরত,
অশ্রু ঝরে কংক্রিট মাটিতে মায়া-মমতাহীনভাবে।
আমার মনের অভ্যন্তরে তুমি জেগে উঠো
দীপ্ত যুবকের মতো শক্তিমান হয়ে;
আমি কাবু হয়ে যাই অবিরাম, অণুক্ষণ, নিরন্তর।


২২/০৩/২০১৯
আলোঘর, মিরপুর, ঢাকা।