বহুধা বিস্মিত অভিজ্ঞতার কথা বলছি-
একজন নারীকে দেখেছিলাম, অনন্যরূপা সে;
স্নিগ্ধ-সুশ্রী, মুখ তার শ্রাবস্তির কারুকার্য;
তৃতীয়া চাঁদের হাসি ঝুলিয়ে রাখতো ঠোঁটে;
অথচ বিষাদগ্রস্ত একজন মানুষী ছিলেন তিনি;
ধরা পড়ে যেতো, বিষন্ন চোখের চাহনীতে।
মৃত্যুর মতো অন্ধকারের মুখের অবয়ব তাঁর,
মুখোশের আড়ালে ঢেকে রাখতো অনবরত
সৌকুমার্য কুসুমের হাসির ঝিলিক দিয়ে।


নৈঃশব্দের প্রাচুর্যের মাঝে
খুঁজে বেড়াতো অন্যরকম প্রচণ্ড প্রাণশক্তি।
নারীর জন্মের ব্যথা লুকিয়ে রাখতেন তিনি-
সমাজ, সংসার, পৃথিবীর সকলের অন্তরালে।
হীরক কাঠিণ্যে নির্মিত মন্দিরে সলিল তারল্য
কুয়াশার অশ্রু ফেলে ফেলে প্রতিদিন
শান্তনা কামনা করে যেতেন সকলের অগোচরে।


ময়ূরের বৃথা গর্ব অবহেলা করে,
প্রবল তুষার-শৈত্য দু'পায়ে মাড়িয়ে দিয়ে,
একদিন চলে গেলেন বিদিশা হয়ে সমুদ্রের দিকে,
মধুর স্নিগ্ধ স্বাদের লবনের খোঁজে, অনন্য লাবণ্য নিয়ে।


০১/০১/২০১৯
মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।