আকাশে খুঁজছে বালকের চোখ নির্মেঘ নির্জনে,
বালিকা গোপনে লুকায় কোথায় কোন গহীনের বনে?
ছুঁয়ে দিতে চায় রক্তিম ঠোঁট, মেঘবরণের কেশ,
চিরল দাঁতের প্রাণকাড়া হাসি, চেয়ে রয় অনিমেষ।
বালিকা নিজের আকাশকে আজ ওড়নায় ঢেকে রাখে,
আড় চোখেচোখে বালক তাকায় মেঘেদের ফাঁকেফাঁকে।
বালকের বুকে হাহাকার জাগে চৈত্রতপ্ত শ্বাস,
বালক নিজেকে ভাবছে ইছুফ, জুলেখার খাস দাস।
বালকের বুকে জ্বলছে আগুন, হুহু করে সারাদিন,
বালিকা বোঝে না দুঃখের ব্যথা বিমূঢ় অর্বাচীন!
ভুল বিশ্বাসে অভিমান করে কাটে তার বার মাস,
বুক ফাটে তার মুখ ফোটে নাকো, করছে হায় হুতাস।
কেহই কাউকে বলতে পারে না ভালোবাসা নহে পাপ,
গোপনে গোপনে কেঁদে যায় তারা বাড়িয়ে মনস্তাপ।
পূর্ণিমা চাঁদ জোছনা ছড়ায় সয়লাব চারিপাশ,
বালক কাঁদছে একা নির্জনে ফেলছে দীর্ঘশ্বাস।
এভাবে তাদের কতকাল গেলো ব্যথা নাহি কেহ বোঝে,
নববধু সাজে বালিকা চললো নতুন গৃহের খোঁজে।
নিরাশ বালক চেয়ে থাকে শুধু আলতা পরানো পায়,
মনের বালিকা ধীর পায়ে চলে অজানার কোন গাঁয়।
আজো একাএকা বালক কাঁদছে পথ পানে চেয়ে চেয়ে,
প্রতিরাতে ঝরে গোপন-অশ্রু বালকের গাল বেয়ে।


১৬/১১/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।