ওরে, সোনারই দেশ (২) এ বাংলাদেশ তোমার জন্মদিনে, কবিরা আজ কাব্যকথায় আবার লইবে চিনে, বলি জন্মকথা (২) বড়ো ব্যথা মনে উছলায়, তোমার জন্ম রক্ত গাঙে বাঁধ মানে না হায়, সেই যে আটচল্লিশে (২) জিন্নাহ এসে কইলো উঁচা গলায়, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু বলে যায়, পরে লে'কত আলী (২) দিলো তালি জিন্নার সুরে তান, এই কথা বাঙালি মনে উঠে অগ্নি বান, তাঁরা ক্ষোভে ফাটে (২) হাটে মাঠে তুললো আলোড়ণ, শহরে , গ্রাম ও গঞ্জে বাড়লো আন্দোলন, এলো বাহান্ন যে (২) ভাষার প্রশ্নে জীবন করলো দান, সালাম, বরকত, জব্বার আরো শফিক রহমান, তারা প্রাণ দিলো (২) রক্ত দিলো আরো অনেক ভাই, অহিদ, রফিক নাম না জানা, সালাম জানাই। সেথায় জয় হইলো (২) ভাষা পাইলো মায়ের কণ্ঠস্বরে, শোষণেরই মাত্রাখানি দিনে দিনে বাড়ে, চললো আন্দোলন (২) ঘন ঘন নেতা মুজিবুর, ছয় দফার কারণে জিতেন বাঙালির অন্তর, একক নেতা তিনি (২) সবাই চিনি নামে বঙ্গবন্ধু, অকুতোভয় বিশ্বসেরা প্রেমিক মহাসিন্ধু,  হলো নির্বাচন (২) ও ভাই শোন, গদী পাওয়ার সিট, আওয়ামী লীগ দখল করে, দেখে পাকি-চিট. মাথা ঘুরায়ে যায় (২) করে হায় হায়! একি হইলো ভবে, বাঙালিরা পাকিস্তানের ক্ষমতায় যে যাবে! তাতো দেয়া যায় না (২) তোলে বায়না আলোচনার নামে, তলে তলে সৈন্য বাড়ায় এ বাংলার ধামে, করে ছলচাতুরী (২) ভুরি ভুরি ইয়াহিয়া পাঠা, তারই সাথে যুক্ত হইছে ভুট্টো হারামজাদা, তারা যুক্তি করে (২) ঘরে ঘরে করবে ধ্বংসলীলা, ভয় দেখায়ে ঠাণ্ডা করবে বাঙালিদের পিলা; মার্চের সাত তারিখে (২) বজ্রকণ্ঠে বলে দেন সে-ই নেতা, আর যদিবা গুলি চলে চাইবো স্বাধীনতা, তাহার বিকল্প নাই (২) ওরে ও ভাই! শোনেন মন দিয়া, পঁচিশে মার্চ একাত্তরে কসাই  ইয়াহিয়া দিলো হুকুমখানি (২) ও জওয়ানী, পাকিস্তানি সেনা! হত্যা করো, ধর্ষণ করো রইবে তারা কেনা গোলামেরই মতো (২) ভয়-সন্ত্রস্ত থাকবে সর্বদা, পা চাটিয়া হুজুর কইবে জানিও সদা, কিন্তু চিনে নাই সে (২) বাঙালিকে, নিজের হিসাব নিতে, কখনো সে পিছ পা হয় না, ভয় রাখে না চিতে, করে মরন পণ (২) ও, ভাই ও বোন যুদ্ধমাঠে যায়, নিজের পরান বাজি রাখে দেশের মায়ায়, । শুনুন অন্য সুরে..


ও ভাই,  আইলো সেনা পাকিস্তানি নাম নিলো 'মছুয়া',
           'বিচ্ছু' ছেলে 'মুক্তি' কাটে তার লাইগ্যা এক কুয়া।
                             তারা   ছিলো যে মছুয়া।
           একাত্তরে বাংলাদেশে আইছিলো দাজ্জাল
           মানুষ-রক্তে করলো তারা পদ্ম-মেঘনা লাল।
                       ও ভাই,  আইছিলো দাজ্জাল।


তারা,   বাবা-মাকে হত্যা করে, মারলো ছোট্ট ভাই,
          কত্তো বইনের ইজ্জত নিলো লেখাজোখা নাই।
          মুক্তি-সেনা বিচ্ছু হইয়া দিল্যো যে কামড়,
          'মছুয়ারা' সে-ই কামড়ে পাইলো ভীষণ ডর।
          বন্ধু আমার পড়শী ভারত হাত বাড়িয়ে দিলো,
          হত্যাকারী-ধর্ষকেরা ভীত হয়ে গেলো।
          যুদ্ধ ছাইড়া 'মছুয়ারা' করলো 'সারেন্ডার',
          এই খবরে কান্দে শুধু দেশী রাজাকার!
                                   তারা,  দেশের কুলাঙ্গার।


          ভাই-বেরাদর শুনেন সবে, শুনেন দিয়া মন,
          রাজাকারের বিচার হইবো, করছে তাই ক্রন্দন।
          ঘটি ঘটি থুতু আনো ঢালবো তাদের গায়,
          ঘৃণাবোধের বহ্নিশিখায় জ্বলছে আমার মা-য়।
          সব রাজাকার হারামজাদা, মীর জাফরের জাত,
          ফাঁসি দিয়ে করতে হবে এবার কুপোকাৎ।
                          তারা, মীর জাফরের জাত,
                          তারা, মীর জাফরের জাত।


(মুক্তিযোদ্ধা) দেশকে মাতা বলে (২) দলে দলে মুক্তিযুদ্ধে নামে, নিজের রক্তে পত্র লেখে স্বাধীনতার খামে, নয় মাস যুদ্ধ করে (২) অতঃপরে, আনে স্বাধীনতা, এই হলো ভাই সোনার দেশের আসল জন্মকথা, এবার ক্ষ্যান্ত করি (২) মরি, মরি! সুন্দর বাংলাদেশ, কবীর হুমায়ূন বলে ভালোবাসার রেশ রেখে (দেশকে) বাসবো ভালো (২) জ্বালবো আলো জ্ঞানের প্রদীপ দিয়া, আজকে থেকে আমরা চলবো এ প্রতীজ্ঞা নিয়া; এবার সাঙ্গ করি....


২৬/০৩/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।