ফেসবুকীয় বান্ধব থেকে তাদের দুজনের মাঝে
মন দেওয়া-নেওয়ার বন্ধুত্ব হয়।
ইনিয়েবিনিয়ে দিনে দিনে বাড়ে কতো না কথার পরিচয়!
নিবিড় প্রগাঢ় বন্ধনের স্বপ্ন বোনে গোপনে গোপনে
সম্পর্কের ডালাপালা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে মহীরুহ হয়।
ফেসবুক থেকে চলে যায় তারা ম্যাসেঞ্জারের খুপরি ঘরে;
তার কিছুদিন পরে  
ইমুর চাতালে কলকল করে রাত্রির দীঘল কাল কাটায়।
সম্মোহনী রজনীর ক্ষণগুলো বিনিদ্রিত কাটে,
উড়ে যায় তারা পাহাড়ের বুক চিড়ে
রঙিন নৌকায় চড়ে রামধনু পাল তুলে।
তাদের তরল কথায় কথায় বিশাল আকাশ প্রেমভারে নুয়ে যায়
কী অবলীলায়! অকস্মাৎ, নীল ও ধুসরে দিগন্তে মিলিয়ে যায়!
প্রাণে প্রাণে সুর উঠে, গান গায় উন্মাতাল আনন্দে হিল্লোলে।
রঙময় প্রজাপতি শান্ত জলাশয় ও উদ্যান ভুলে
দুরন্ত নিঃশ্বাসে আকাশে বাতাসে পেখম মেলে।


একদিন প্রেমাতুর সে মেয়েটি
তিলে তিলে জমানো তার পিতার সমুদয় অর্থ,
(মেয়েটির ভবিষ্যত আলোকিত করার জন্যই সঞ্চিত হচ্ছিলো যা)
যক্ষের ধনের মতো নিয়ত প্রহরারত মায়ের চুরি, বালা,
সোনার চেইন, মাদুলি, টিকলি সব মিলে হয়তো বা দশ ভরি,
দু'একটা কাপড়-চোপর একত্রে পোটলি বান্ধিয়া
ঘরের আগল খুলে কোন এক সকলের আলোছায়া কালে
অগোচরে বের হয়ে যায় অজানায়,
সুখের আশায়, রঙিন দিনের প্রত্যাশায়।
হায়!


জলপাই রঙের ভালোবাসার কথা বলে
মেয়েটির পরানের ঘরে আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়ে
হাসিতে হাসিতে চারিদিক আলোকিত করে
ছেলেটি তুলে নেয় তারে কোন এক হোটেলের ঘরে।
তারপর, বাসনার মহামারী, পুঙ্গবের ছল ও চাতুরী,
উত্তাপহীন শরীরে ধর্ষিত হয় মেয়েটি, ক্রমাগত একাধিক জনে।
অতঃপর,
মেয়েটির লাশ বিলের জলেতে ভেসে উঠে
খবরের কাগজে বক্স-নিউজ হয়।
তার কোন খবর হয় না তোলপাড় করে,
যে ছেলেটি নির্বিকারে ফিরে গেছে ফের ভিন্ন শিকারের খোঁজে।


০৮/১১/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।