যদিও নদীরা ভাঙে দুই পাড়, ভাঙে আরো তার
বুকেরই চর; যদিও তাহারা জলেই প্লাবিত
করে কুসুমিত মানুষের ঘর। যদিও ভাসায়
বন্যার ছলে হাঁস ও মুরগী, গরু ও ছাগল,
বোনা ভালোবাসা- আউশ-আমন, পুকুরের মাছ,
ধান-পাট আর স্বপ্নের মতো স্নিগ্ধ ফসল।
তবুও মানুষ অকাতরে উন্মত্তা নদীকেই
খুব ভালোবাসে, নদীর কিনারে বসত করে সে,
নদীর বক্ষে অনাবিল হাসে। নদী বয়ে আনে
পলির অমৃত- পাহাড়ের অনিন্দ্য ভালোবাসা!
উর্বর করে ফসলের মাঠ- বিদ্যুত আনে
কৃষাণীর চোখে, জাগায় হৃদয়ে কৃষকের আশা।
ছায়া ফেলে নদী জলে নিস্তব্ধ গহীন নিশিতে
আকাশের তারা, জোনাকির মতো ঝিকিমিকিময়;
মানুষেরা সব মাতালের মত হয় দিশেহারা।
তোমাকে বলেছি, এ জগতে তুমি সুন্দর নদী!
তোমার স্পর্শে কামনারহিত ভালোবাসা জাগে,
ছুঁয়ে দিয়ে তাই দুর্গম পথে হাঁটি নিরবধি।
বিদগ্ধ চোখে নদীর বুকেতে চাঁদ জেগে রয়,
তোমার আমার মতো তাহারাও কত কথা কয়!
তোমারই বুকে শুয়ে থেকে আমি স্বপ্ন বানাই,
জীবনের নদী! স্বর্গ-মর্ত্য, পাপ ও পূণ্য
কিছুই বুঝি না, বিমল প্রেমের স্রোতধারা দিয়ে
পরাণের তলে জড়াও আমারে একবার যদি।


১৫ বৈশাখ, ১৪২৪
২৮/০৪/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।