দুর্গতিনাশিনী! অসুর-বিনাশিনী, বারোয়ারী দুর্গা!
বিদায়ের পালা এলো, এইবার তুই চলে যা,
আবার আসার প্রত্যয় নিয়ে।
মানুষের অন্তর, অমাবস্যার অন্ধকারে ঢাকা-
কাম-ক্রোধ-হিংসা-লোভ, ভালোবাসাহীনতা
এইসব নিয়ে তুই কৈলাসে চলে যা,
সর্বংসহা, তোরই আঁচলে ভরে।
দিয়ে যা মা মানুষেরে, শুদ্ধ মানুষ হতে  
অসুরবিনাশী শক্তি, চিন্তায়-চেতনে।
হেমন্তের ঠাণ্ডা হাওয়ায় নিদারুণ বিষাদের সুর
ধমকি ধমকি উঠে অনন্তলোক হতে,
প্রাণে প্রাণে জাগে হরিষেবিষাদে
বিসর্জনের বেদনাবিধুর সুর,
প্রাণের ভেতরে দোলে কোটি সমুদ্দুর!


মাতৃগৃহ ছেড়ে যাবি মা, চলে যাস, কি দেবো তোরে?
অঞ্জলি আর উলুধ্বনি দেই শঙ্খধ্বনির সাথে,
ধান ও দুর্বা, মিষ্টি, আবিরে তোরে বিদায় দিতে
দাঁড়িয়ে ভক্তের দল,  
বিদায়ের ধ্বনি বাজে সঙ্গীতে সঙ্গীতে।
আনন্দময়ী! অঞ্জলি তোর আচলে ভরে কৈলাসে ফিরে যা।
অসুরবধের সন্ধিক্ষণে রণরঙ্গিণী ছিলি আনন্দহিল্লোলে।
তোর বিদায়ের ক্ষ্ণে ঢাকের বোলে নিনাদিত হচ্ছে,
কান পেতে শুনি-
'ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ! ঠাকুর যাবে বিসর্জন'!


১৯/১০/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।
শুভ বিজয়া দশমী